জয়া আহসান
এ বার বাংলাদেশে সাংবাদিক নিগ্রহ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এমন ঘটনায় তোলপাড় প্রতিবেশী দেশ। রোজিনার হয়ে মুখ খুলেছেন ভারত-বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। নেটমাধ্যমে রোজিনার ছবি ভাগ করে নিয়ে জানিয়েছেন, ‘রোজিনা সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। সিঁধ কাটতে নয়’।
জয়া হতভম্ভ রোজিনার নিগ্রহ দেখে, ‘দেখতে পেলাম, হেনস্থার শিকার হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যাচ্ছেন। এই আমাদের আচরণ! এই আমাদের সভ্যতা!’ ঘটনার ছোট্ট ঝলকও ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমে। সেখানে দেখা গিয়েছে রোজিনার সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হচ্ছে।
এই দৃশ্য দেখতে দেখতে জয়ার মনে হয়েছে, ‘রোজিনার গলার ওপর চেপে বসা আঙুলগুলো গভীর অর্থময় এক প্রতীকের মতো লাগছে। মনে হচ্ছে আঙুলগুলো কোনও ব্যক্তির গলায় নয়, বরং বাংলাদেশের বাক-স্বাধীনতার কণ্ঠনালিতে চেপে বসেছে’। দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এমন অশুভ ঘটনা দেখে লজ্জিত অভিনেত্রী। রোজিনাকে তাঁর পরিবারের কাছে দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
প্রকৃত ঘটনা কী? বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে সোমবার খবর সংগ্রহের উদ্দেশে স্বাস্থ্য দফতরে যান রোজিনা। সেখানে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখা হয় তাঁকে। হেনস্থাও করা হয়। যার জেরে একটা সময়ের পরে অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। খবর, পরে গ্রেফতার হন রোজিনা। ঘটনা জানাজানি হতেই শাহবাগ থানার সামনে দফায় দফায় স্থানীয় সাংবাদিকেরা বিক্ষোভ দেখান।
জয়ার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সামিল এক হাজারেরও বেশি নেটাগরিক। জনৈক নেটাগরিকের দাবি, ‘কিছু নোংরা আর নীচু মানসিকতার পরিবার থেকে উঠে আসা ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের এ সব দৃশ্য দেখতে হচ্ছে, লজ্জিত হতে হচ্ছে’।