২৬-এ পা জাহ্নবীর, মায়ের মৃত্যু ‘স্বস্তিদায়ক’, কেন এমন উপলব্ধি অভিনেত্রীর? ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় শ্রীদেবীর। তার ঠিক পরের মাসেই বড় মেয়ে জাহ্নবী কপূরের জন্মদিন। ২৬-এ পা দিলেন জাহ্নবী। একটা সময় মায়ের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতেন। এখন অনেকটা বড়, সব কিছুই একা একা করতে হয়। আদর করে শ্রীদেবী তাঁকে ডাকতেন ‘লাডো’। নিজের জন্মদিনেও মায়ের আকস্মিক মৃত্যু কি তাড়া করছে জাহ্নবীকে?
মায়ের আকস্মিক মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারেননি জাহ্নবী। ২০১৮ সালে শ্রীদেবীর প্রয়াণের পাঁচ মাস পর মুক্তি পায় জাহ্নবীর প্রথম ছবি ‘ধড়ক’। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের তরফে অভিনেত্রীকে শ্রীদেবী সম্পর্কিত কোনও প্রশ্ন করাও নিষেধ ছিল। সেই সময় মেয়ের পাশে দাঁড়ান বনি কপূর। নতুন এই জগতের অলিগলি শেখান বাবা বনি কপূর। তবে এখন অনেকটা শক্ত জাহ্নবী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘মাকে হারানোর পর আমার হৃদয়ে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা কখনও মিটবে না। কিন্তু সে সময়ে আমার এক অন্য অনুভূতি হয়েছিল। আসলে জীবনে এমন অনেক কিছুই হয়তো সহজে পেয়ে গিয়েছি তাই, আমার মনে হত, কিছু না কিছু খারাপ জিনিস হবেই আমার সঙ্গে। মায়ের মৃত্যুর পর মনে হয়েছিল, এই বীভৎস ঘটনা আমার কপালে লেখা ছিল, এমন হওয়ারই ছিল। তাই তখন আমি শোকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, এই তো যা খারাপ হওয়ার হয়ে গেল। সেই ভাবনটা এক ধরনের স্বস্তিদায়ক অনুভূতি ছিল।’’
পাশপাশি জাহ্নবী জানান, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর থেকে জীবনের অধিকাংশ সময়টা কাজেই ডুবিয়ে রেখেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মায়ের মৃত্যুর ওই মাসটা কেমন কাটিয়েছিলাম, এখন যে আর কিছুই মনে পড়ে না, সবটা ধোঁয়াশা।’’