জন্মদিনে নতুন দিগন্তে পাড়ি শ্রীদেবী-কন্যার, এনটিআর জুনিয়রের নায়িকা এ বার তিনি! — ফাইল চিত্র।
৬ মার্চ, হোলির আবহে জীবনের ২৬টি বসন্ত পূর্ণ করলেন শ্রীদেবী-কন্যা জাহ্নবী কপূর। নায়িকার জন্মদিনে ভেসে এল আরও এক খুশির খবর। বলিউড পেরিয়ে এ বার দক্ষিণে পাড়ি জমাবেন জাহ্নবী। এই প্রথম ‘প্যান ইন্ডিয়ান’ বা সর্বভারতীয় প্রকল্পের ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।
ছবির নাম ‘এনটিআর ৩০’। কোরাতালা শিবার পরিচালনায় এই ছবিতে এনটিআর জুনিয়রের বিপরীতে অভিনয় করছেন জাহ্নবী। প্রকাশ্যে এসেছে সে ছবির লুকও। জন্মদিনে এই সাফল্যের খবর ভাগ করে নিয়ে তিনি গর্বিত করলেন অনুরাগীদেরও।
পোস্টারে দেখা যায়, নদীর তীরে গ্রাম্য যুবতীর বেশে বসে আছেন জাহ্নবী। তাঁর এলো চুল ছড়িয়ে রয়েছে বুকের কাছে। গোলাপি ব্লাউজ়ের সঙ্গে খাটো করে পরা হলুদ শাড়ি। তার সবুজ আঁচল আলুথালু এক পোষ্যের ভারে। তাকে কোলে নিয়েই বসে আছেন নায়িকা। হাসিমুখে ঘুরে তাকিয়ে আছেন পিছনে। দূরে আবছায়া। গাছের ফাঁকে জমাট বাঁধা কুয়াশা। উপরে লেখা, “ঝড়ের আগের শান্ত পরিবেশ।” কী আছে ‘এনটিআর ৩০’-এর কাহিনিতে? ক্রমশই স্পষ্ট হবে কুয়াশা কেটে। হাতে আরও একগুচ্ছ বলিউড ছবি। সে সব সামলে আবার নতুন চুক্তিতে দিব্যি কাজ হাতে নিয়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
তাঁর বাবা বনি কপূর এক বার বলেছিলেন, “মেয়েকে শুরুতেই আমি নিজের ছবিতে নিতে চাইনি। চেয়েছিলাম, সে তার নিজের চেষ্টায় ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নিক। তার পর না হয় আমার সঙ্গে কাজ করবে।” ঠিক সেটাই করে দেখিয়েছেন জাহ্নবী। বলিউডে আত্মপ্রকাশ করার ৬ বছরের মাথায় ‘মিলি’ করেছেন, বনির প্রযোজনায়। প্রয়াত মা শ্রীদেবীরও স্বপ্নপূরণ হল। কন্যাকে এমন স্বাবলম্বীই যে দেখতে চেয়েছিলেন!
জাহ্নবীও তেমনই নিজের মতো স্রোতস্বিনী। কখনও একা একা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। আবার শুটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকে ভাগ করে নেন খোলামেলা ছবি। তাঁর রূপেগুণে মুগ্ধ নবীন প্রজন্ম। সমাজমাধ্যমে অনুরাগীর সংখ্যা ৩ কোটি ছুঁইছুঁই।
তবে জাহ্নবীর মতে, সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা কোনও ভাবেই ভাবমূর্তির সঙ্গে যুক্ত নয়। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমাকে অনেকেই বলেছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার কার্যকলাপ নাকি অনেককেই ধাঁধায় ফেলে দেয়।’’ এই প্রসঙ্গেই জাহ্নবী বলেছেন, ‘‘সমাজমাধ্যম যদি শুধুই নিজের ছবি বিক্রির জায়গা হয়, তা হলে সেটা করতে গেলে হিসেবনিকেশের প্রয়োজন এবং আমার জন্য বেশ কঠিন। আমি আমার পছন্দের ছবিই করব।’’ তা হলে সমাজমাধ্যম? সেটা যে বিজ্ঞাপনের প্রচারের জন্যই তিনি ব্যবহার করেন, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন জাহ্নবী।