কে হবেন এ ছবির মূল অভিনেত্রী?
আলি আব্বাস জাফরের পরিচালনায় ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ আসতে চলেছে, এ খবর সকলেরই জানা। তবে তারকা কারা— সে নিয়ে চমক দেওয়ার শেষ নেই নির্মাতাদের। বড়ে মিয়াঁ হচ্ছেন অক্ষয় কুমার, ছোটে মিয়াঁর ভূমিকায় টাইগার শ্রফ। গত মাসে অক্ষয়ের জন্মদিনেই দুই নায়কের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু নায়িকা-সংবাদ মিলতে অনেকটাই দেরি হল। বুধবার হঠাৎ ভাইরাল নতুন লুক। নায়িকা আর কেউ নন, জাহ্নবী কপূর।
কে হবেন এ ছবির মূল অভিনেত্রী? এ নিয়ে জল্পনা চলছিলই। শেষমেশ অশ্বমেধের ঘোড়া নাকি জাহ্নবীর কাছেই এসে থামে। সূত্রের খবর, অভিনেত্রী নিজেই এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে সিদ্ধান্তে আসতে দেরি হয়। বছরের মাঝখানে পরিকল্পনার অদলবদল হয়েছে অনেকটাই।
বিশেষ করে টাকার অঙ্ক। যে পারিশ্রমিকে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন পরিচালক থেকে শুরু করে অক্ষয়, টাইগার— সবটাই বহু শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। কারণ একটাই। বলিউডের মন্দার বাজারে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না নির্মাতারা।
‘হিরোপন্তি ২’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’এবং ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’-এর ব্যর্থতার পর ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ নিয়ে বেশি ঘামাতে চাইছেন না প্রযোজকরা। যা বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল এই ছবির জন্য, শুরুতেই নাকচ হয়ে গিয়েছে। ছবির কাজও তাতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শেষমেশ, অল্পের উপর দিয়ে পরিকল্পনা করতে চাইলেন সকলেই, যাতে কাজটা হয়।
বলিউড সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্ষয় তাঁর পারিশ্রমিক কমিয়ে এনেছেন ৫০ শতাংশ। টাইগার এবং আলিও তাঁদের পারিশ্রমিক ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমিয়েছেন৷ সামগ্রিক ভাবে বাজেট কমেছে ১০০ কোটি টাকা৷ এখন জাহ্নবী কত নেবেন সে নিয়ে অবশ্য কিছুই জানা যায়নি। সম্ভবত তাঁর দাবি করা পারিশ্রমিক প্রযোজকদের সাধ্যের মধ্যে বলেই রফা হয়েছে।
তবে নির্মাতারা জানান, ছবির কাজ বন্ধ হয়ে পড়ার কারণ কেবল আর্থিক সমস্যা নয়। আনুষঙ্গিক কারণও রয়েছে। অভিনেতাদের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি গোপন রাখাই নিয়ম। সেটা কী ভাবে ফাঁস হল, সে নিয়েও সংশয়ে নির্মাতারা। ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। শ্যুটিংয়ের জায়গা বাছতে আলি আব্বাস জাফর ইউরোপে সফরে গিয়েছিলেন। ছবিটিও এখন প্রি-প্রোডাকশনের পর্যায়ে রয়েছে। পরের বছর জানুয়ারিতে ছবির কাজ শুরু হবে।