কার প্রেমে হাবুডুবু ছিলেন জ্যাকলিন?
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ কি বরাবরই বিত্তশালীদের প্রতি দুর্বল? তাঁর প্রেমিকদের নামের তালিকা দেখলে এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে পাঠকের মনে। সম্প্রতি ফাঁস হল সেই তালিকার আরও একটি বড়সড় নাম। জানা গিয়েছে, সিংহলী অভিনেত্রী যেমন সলমন খান বা সুকেশ চন্দ্রশেখরের অনুরাগিনী, তেমনই তাঁর তুমুল প্রেম ছিল বাহারিনের যুবরাজের সঙ্গেও। সুকেশ যদি হন '২০০ কোটির মালিক', সেই শেখ হাসান বিন রশিদ আল খলিফার সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন? আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা বলছে, ১১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! ২০১১-র একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজ পরিবারের সদস্যদের অন্যতম।
জ্যাকলিনের সঙ্গে যুবরাজের প্রেম কিন্তু এক-দু’দিনের নয়। এক দশক ধরে দু’জনে দু’জনাতে মুগ্ধ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, দু’জনের মধ্যে গভীর বন্ধন ছিল। শেখ হাসান বিন রশিদ আল খলিফা দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতে ভালবাসেন। বিশ্ব পর্যটনের পাশাপাশি তিনি প্রথম সারির সঙ্গীতশিল্পীও।
২০১১-য় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বয়ং যুবরাজ নাকি স্বীকার করেছিলেন, তিনি ও জ্যাকলিন একে অন্যকে চোখে হারাতেন। এ দিকে দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ দূরত্ব। যা একটা সময়ের পরে প্রেমের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই দূরত্বের হাত ধরেই নাকি নায়িকার জীবনে একাধিক পুরুষের উপস্থিতি। সেই তালিকায় সাজিদ খান, অ্যাডাম ক্যাল্ডেরারের নাম রয়েছে। যদিও জ্যাকলিন তা অস্বীকার করেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিচ্ছেদের পরে নাকি বিরহে কাতর যুবরাজ একটি গানের অ্যালবামও বার করেন।
বলিউড বলছে, সে পর্ব অতীত। বর্তমানে চর্চায় জ্যাকলিন-সুকেশ। জ্যাকলিনের গলায় সুকেশের আদরের চিহ্নও ধরা পড়েছে সদ্য প্রকাশ্যে আসা দু'জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ছবিতে। এর পরেই অভিনেত্রী সংবাদমাধ্যমের প্রতি তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জানতে চান, ‘‘আপনাদের প্রিয় জনের গায়েও কি এ ভাবেই আপনারা কাদা ছেটান?’’ ইতিমধ্যেই ২০০ কোটির প্রতারণায় অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে নায়িকা দু’বার ইডির মুখোমুখি। জেরায় তাঁর দাবি, তিনি সুকেশের আসল পরিচয় জানতেন না।