চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন পদপিষ্ট ঘটনায় আহত বালক। ছবি: সংগৃহীত।
অল্লু অর্জুনের ছবি দেখতে এসে পদপিষ্ট হয়েছিল শ্রী তেজ। গত ২০ দিন ধরে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিল আট বছরের সেই বালক। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, চিকিৎসায় সে ভাবে সাড়া দিচ্ছে না। কিন্তু মঙ্গলবার বালকের বাবা ভাস্কর জানান, সামান্য হলেও উন্নতি হয়েছে ছেলের শারীরিক পরিস্থিতির। চিকিৎসায় সা়ড়া দিতে শুরু করেছে।
এর আগে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেশনে রয়েছে শ্রী তেজ। চিকিৎসায় কাজ হচ্ছে না। তাই এই অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম। তবে মঙ্গলবার ভাস্কর জানিয়েছেন, ২০ দিন পর তাঁর পুত্র চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে। জ্ঞানও ফিরেছে তার। ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমার সন্তান অবশেষে ২০ দিন পরে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে। অল্লু অর্জুন ও তেলঙ্গানা সরকার আমাদের সাহায্য করছে।”
কেআইএমএস হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও সেই বালকের স্বাস্থ্য নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে, শ্রী তেজের জ্ঞান ফিরেছে। আর ভেন্টিলেশনে তার থাকার প্রয়োজন নেই। তবে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে। শ্রী তেজ নাকি কাউকে চিনতে পারছে না, জানিয়েছেন বালকের বাবা। তিনি বলেছেন, “ও চোখ খুলেছে। কিন্তু ও আমাদের কাউকেই চিনতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, পরিবার ওর পাশে থাকলে এবং প্রায়ই নাম ধরে ডাকলে ও ক্রমশ আমাদের চিনতে পারবে। আমরা সোমবার থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি, ও যাতে আমাদের চিনতে পারে।”
গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর বিশেষ প্রদর্শন ছিল। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণী তারকাও। তাঁকে ঘিরে উত্তেজনার কমতি ছিল না দর্শকদের। উপচে পড়েছিল ভিড়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৫ বছরের এক মহিলার। সেই মহিলার পুত্র শ্রী তেজও গুরুতর জখম হয়। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় অল্লুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এমনকি গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। তবে এক দিনের মধ্যেই অন্তর্বর্তী জামিন পান তিনি।