রাজনীতিতে যোগ দেবেন সোনু? ছবি: সংগৃহীত।
করোনা অতিমারির সময় ‘মসিহা’ তকমা পেয়েছিলেন সোনু সুদ। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। সাধারণ মানুষ যে কোনও সমস্যাতেই তাঁকে ডেকে সাড়া পেয়েছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগ না-রেখেও যে মানুষের জন্য কাজ করা যায়, প্রমাণ করেছিলেন সোনু। অতিমারিতে ত্রাতা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অনেকেই আশা করেছিলেন, এর পর হয়তো রাজনীতির ময়দানেই অভিনেতার দেখা মিলবে। কিন্তু সোনু নিজেই সেই সব জল্পনা ভুল প্রমাণ করেছেন।
একাধিক মহল থেকে সোনুর কাছে রাজনীতিতে যোগদান করার লোভনীয় প্রস্তাব এসেছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ও রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও পেয়েছেন সোনু। কিন্তু এই প্রস্তাবেও নিজের অবস্থান থেকে সরে যাননি সোনু। অনড় থেকেছেন নিজের সিদ্ধান্তে। সোনু বলেছেন, “আমাকে এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর পদের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। আমি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় উপমুখ্যমন্ত্রী হতে বলা হয়। দেশের অন্যতম প্রভাবশালীরা চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, ‘তোমাকে নির্বাচনে লড়তে হবে না। শুধু রাজনীতিতে যোগ দাও আর আমার সঙ্গে থাকো’।”
দেশের অন্যতম প্রভাবশালীরা তাঁকে রাজনীতিতে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, এই দেখে বেশ অবাক হয়েছিলেন সোনু। অভিনেতার কথায়, “অধিকাংশ মানুষই ক্ষমতা ও অর্থের লোভে রাজনীতি করে। এর কোনওটাতেই আমার আগ্রহ নেই। আমি নিজের মতো করে মানুষকে সাহায্য করছি। কাউকে আমার কোনও উত্তর দেওয়ারও নেই। রাজনীতিতে থাকলে অনেক দায় থাকে। সেটা আমি ভয় পাই। মানুষকে সাহায্য করার জন্য আমার মুক্ত বাতাসের প্রয়োজন। আমি রাজনীতির বাঁধনকে ভয় পাই।” সোনু সুদ বর্তমানে তাঁর আসন্ন ছবি ‘ফতেহ’র মুক্তি ও প্রচার নিয়ে ব্যস্ত।