ভিএফএক্স-এর সমস্যা মিটলেও চিন্তা ছিল এ ছবির হিন্দি সংস্করণ নিয়ে। যা সামলে দিয়েছেন শরদ। ফাইল চিত্র
রামচন্দ্রের ভূমিকায় প্রভাস। হিন্দি ‘আদিপুরুষ’-এ তাঁর কণ্ঠ ধার দিয়েছেন অভিনেতা শরদ কেলকার। আগেও ‘বাহুবলী’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির জন্য প্রভাসের মুখে স্বর দিয়েছিলেন তিনি। বার বার তিনিই যেন প্রভাসের ভরসা। তবে এ নিয়ে শরদের অভিজ্ঞতা কেমন?
অভিনেতা বললেন, “ওম রাউত শুরু থেকেই স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আমার কণ্ঠই চান। আমারও তো এতে গর্ব বোধ হয়। শ্রীরামের চরিত্রে কণ্ঠ দেব, এ যে পরম সৌভাগ্য! এত দিন ‘বাহুবলী’র কণ্ঠে মানুষ আমায় মনে রেখেছিলেন, এ বার রাখবেন শ্রীরামের কণ্ঠে। মনে হচ্ছে শ্রীরাম নিজেই আমায় এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন।”
মুক্তির আর বেশি দেরি নেই, তবু বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ‘আদিপুরুষ’-এর। ভিএফএক্স-এর সমস্যা মিটলেও চিন্তা ছিল এ ছবির হিন্দি সংস্করণ নিয়ে। যা সামলে দিয়েছেন শরদ। ৪৬ বছরের অভিনেতা নিষ্ঠাভরে নিজের কাজ করে চলেছেন বলেই জানা যায়। ‘আদিপুরুষ’ নিয়ে এত বিতর্কের মধ্যে তিনিও কি আশঙ্কায় ছিলেন? শরদ বললেন, “আমি নিজের দায়িত্বকেই পাখির চোখ করেছি।”
কথা বলতে গেলে আগে কথা জড়িয়ে যেত। তার পরই জেদ চেপে যায় বলে জানান শরদ। তাঁর কথায়, “আমি ঘটনাচক্রে অভিনেতা হয়েছি। কখনও প্রশিক্ষণ নিইনি। প্রতি দিন শুধু শিখেছি। কথা বলার জড়তা অতিক্রম করে ক্যামেরার সামনে এসেছি। আমার স্ত্রীই আমার গুরু ছিলেন। বিয়ের পর দীর্ঘ দু’বছর তিনি আমায় শিখিয়ে গিয়েছেন।”
এ দিকে ‘আদিপুরুষ’ ছবিতে রাবণ হিসাবে সইফ আলি খানের চেহারা মেনে নিতে নারাজ একাংশ। ছবি নিষিদ্ধ করার হুমকিও এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। জবাবে ওম বলেছিলেন, “আমাদের আজকের রাবণ শয়তানের প্রতিরূপ, সে নিষ্ঠুর। যে সীতাকে অপহরণ করেছে, তাকে এখনকার সময়ের উপযোগী একটা চেহারা দেওয়ার কথা ভেবেছি আমরা। এটা শুধু একটা ছবি বা প্রজেক্ট নয়, আমাদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ।”
সম্প্রতি আইনি জটিলতায় পড়ে নির্মাতারা নাকি সইফের দাড়ি বাদ দিতে চলেছেন, এমনটাই জানা গিয়েছে। পুরোটাই করা হবে ভিএফএক্স-এর সাহায্যে।
কথা ছিল, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাবে ‘আদিপুরুষ’। তার বদলে নির্মাতাদের ঘোষণা, ছবির মুক্তির দিন ১৬ জুন, ২০২৩।