এই দুঃসময়ে কেমন কাটছে সব্যসাচীর সারাটা দিন? ফাইল চিত্র।
যুদ্ধ জারি। ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে একটানা। খাওয়া নেই, রাতে ঘুম নেই। ‘আইসিইউ’-এর বাইরে দাঁড়িয়ে প্রতিটা মুহূর্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটছে সব্যসাচী চৌধুরীর। কারণ সবচেয়ে প্রিয় মানুষটা যে সামনের ওই বিছানাটায় শুয়ে। আচমকা স্ট্রোক নিয়ে ১ নভেম্বর হাওড়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। তার পর থেকে একটা মিনিটও চোখের পাতা এক করেননি সব্যসাচী।
চারিদিকে নল লাগানো। সারা ক্ষণ পাশের মনিটারে চোখ। এই রক্তচাপ কতটা পড়ল? পাল্স কত? তাই এক মিনিটও ‘আইসিইউ’-এর সামনে থেকে সরছেন না সব্যসাচী। এক জন প্রত্যক্ষদর্শী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “এক মিনিটের জন্যও হাসপাতাল থেকে বার হচ্ছেন না সব্যসাচী।
হাসপাতালে উপর-নীচ করার জন্য দু’টি লিফট আছে। একটি লিফট রোগী এবং হাসপাতালের কর্মীদের জন্য। আর অন্যটি রোগীদের দেখতে আসবেন যাঁরা তাঁদের জন্য। কর্মীদের জন্য বরাদ্দ লিফটই ব্যবহার করছেন সব্যসাচী। এত দিনে অভিনেতার মুখ সকলেরই চেনা হয়ে গিয়েছে। তাই মনে হয়, স্টাফদের লিফটটাই ব্যবহার করছেন।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি ওঁকে হাসপাতালে ‘ভিজিটিং আওয়ার’ এর সময় এক মুহূর্তের জন্যও বাইরে আসতে দেখিনি। তবে সব ফাঁকা হয়ে গেলে নিভৃতে এক বার বাইরে আসছেন।
হাসপাতালের সামনেই বেশ কিছু ছোট ছোট খাবারের দোকান আছে। সেখানে সন্ধেবেলা ম্যাগি খেয়েই পেট ভরিয়ে নিচ্ছেন। কখনও কখনও আপনা থেকেই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। বুধবার সন্ধেবেলা জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেমন আছে ঐন্দ্রিলা? আমায় না চিনলেও উত্তর দিয়েছেন। বললেন, ‘‘ভাল নেই।”
শেষ কয়েক দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই একটাই খবর— ঐন্দ্রিলা শর্মার অসুস্থতা। কী অবস্থায় আছেন অভিনেত্রী? কিন্তু সব্যসাচী, তাঁর সারাটা দিন কেমন কাটছে? প্রতি মুহূর্ত যে এই ভাবেই উদ্বেগে, উৎকণ্ঠায় যাপন করছেন তিনি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।