সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে সলমন খানের যেমন নানা বিষয়ে খ্যাতি আছে, তেমনই নেতিবাচক কিছু কথাবার্তাও তাঁকে নিয়ে শোনা যায়। মাথাগরম তাঁর, মদ্যপান করে ঝামেলা করেন— এমন দুর্নাম যে রটেনি তা নয়। তবে ‘গদর’-এর পরিচালক অনিল শর্মা কিন্তু দরাজ প্রশংসা করলেন বলিউডের ভাইজানের। ২০১০ সালে ‘বীর’ ছবিতে অনিলের পরিচালনায় কাজ করেছিলেন সলমন।
অনিল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “খান সাহেবের সঙ্গে কাজ করে খুব মজা পেয়েছি। লোকজন বলে, উনি মদে ডুবে থাকেন, পার্টিতে যান। এ সব বোকা বোকা কথা।”
অনিলের বক্তব্য, “সন্ধ্যাবেলা আরাম করার জন্য সলমন একটু-আধটু মদ খেতেই পারেন। অনেকেই তো খান। কিন্তু কাজের প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী তিনি। নেশা করে আছেন বলে কাজে কখনও সমস্যা হয়নি।” সলমনকে চলচ্চিত্রের ‘গ্রন্থাগার’ বলেও উল্লেখ করেছেন পরিচালক।
অনিলের দাবি, তিনি সলমনকে কখনও কারও সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে শোনেননি। পরিচালকের কথায়, “এ বাজে, ও ভাল নয়— এমন কখনও উনি বলেন না। চার ঘণ্টা সলমনের সঙ্গে থাকলে উনি ছবির দৃশ্য, গান নিয়েই সারা ক্ষণ কথা বলেন। কত গান, দৃশ্য, ছবির কথা যে ওঁর মনে আছে! চলতা-ফিরতা লাইব্রেরি যেন!”
সলমন দুর্বিনীত, এ কথাও মানেননি তিনি। বলেছেন, “এটা ঔদ্ধত্য নয়। উনি নিজের জগতে থাকেন, কেউ খোঁচা দিলে তখন উনি প্রতিক্রিয়া জানান। কিন্তু ক্ষতিকারক নন একেবারেই।”
প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে নিয়েও উচ্ছ্বসিত অনিল। ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ অ্যা স্পাই’ ছবিতে প্রিয়ঙ্কা কাজ করেছিলেন তাঁর পরিচালনায়। এটিই ছিল তাঁর প্রথম ছবি। অনিল বলেন, “প্রত্যেকেই প্রথম ছবিতে খেটে কাজ করে, প্রিয়ঙ্কাও করেছিল। দশ দিনের জন্য ওর কাজ ছিল। কিন্তু দু’মাস ও নিয়মিত সেটে আসত। বসার চেয়ার পেল কি না, খাবার পেল কি না, এ সবে গুরুত্ব দিত না। কাজের ব্যাপারে খুব মনোযোগী ছিল। বড় হতে চাইত সব সময়, এগিয়ে যেতে চাইত। ঠিক পথও বেছে নিয়েছিল।”
অনিল এখন ব্যস্ত তাঁর ছবি ‘গদর ২’-এর মুক্তি নিয়ে। খুব শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে আসছে পুরনো ‘গদর’-এর সিক্যুয়েল। তার আগে পুনরায় মুক্তি পাচ্ছে আমিশা পটেল সানি দেওল অভিনীত ‘গদর’-এর মূল ছবিও। ২০০১ সালের ১৫ জুন মুক্তি পেয়েছিল সানি দেওল এবং আমিশা পটেল অভিনীত ‘গদর: এক প্রেম কথা’। অনিল শর্মা পরিচালিত এই ছবিতে দেশভাগের প্রেক্ষাপটে এক প্রণয়কাহিনি উঠে এসেছিল। শুধু যে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিল ছবিটি, তা-ই নয়, পিছনে ফেলে দিয়েছিল একই দিনে মুক্তি পাওয়া সাড়া ফেলা ছবি ‘লগন’-কেও।