জাহ্নবী-সারা। ছবি: সংগৃহীত।
গত ২ জুন মুক্তি পেয়েছে ভিকি কৌশল এবং সারা আলি খান অভিনীত ছবি ‘জ়রা হটকে জ়রা বাঁচকে়’। এখনও অবধি ছবির ব্যবসায়িক সাফল্যও মন্দ নয়। এই ছবির শুটিং করতে গিয়েই সারা কতটা সাশ্রয়ী, তার নমুনা টের পেয়েছিলেন সহ-অভিনেতা ভিকি। সেই গল্প ফলাও করে শুনিয়েছিলেন ছবির প্রচারের সময়। সারার যদিও তা নিয়ে এতটুকুও কুণ্ঠা নেই। স্বচ্ছন্দে মেনে নেন যে তিনি কিপটে।
খরচ বাঁচাতে অন্যের জিনিস আপন করে নেওয়ার স্বভাবও আছে নাকি সারার? জিজ্ঞাসা করলে ফের চমকে দেন অভিনেত্রী। কবুল করে নেন চুরিও করেছেন তিনি! কোথায়? কী ভাবে? সাক্ষী আছেন ভিকি কৌশল।
সারার কথায়, “এক বার বিমানবন্দরে গিয়ে শুনি প্রায় দশ কেজি মতো বাড়তি ওজন হয়ে গিয়েছে জিনিসপত্রের।
এক মাসের ট্রিপ ছিল আমাদের। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, লোশন, টুথপেস্ট নিয়ে নিয়েছিলাম হোটেলের ঘর থেকে।”
সে সব নিয়ে বাড়তি ওজনের গেরোয় পড়ে সারার মনে হয়েছিল, এমনটা আর কখনও করা উচিত নয়।
ভিকি অবশ্য বলেন, “আমি এখনও হোটেল থেকে জিনিসপত্র নিয়ে নিই। আমরা ছবির প্রচারের কাজে নানা রাজ্যে যাই। ঘুমের বারোটা বেজে যায়।”
এর পরই ভিকি বলে ফেলেন, “সারা তো লাউঞ্জ থেকে বালিশ নিয়ে নিয়েছিল! এ রকমটা কে করে? দশ মিনিটের জন্য ও ঘুমিয়েছিল ওখানে। বালিশটা ওর পছন্দ হয়, ব্যস! ওটা নিয়েই তিনটে রাজ্যে ঘুরে বেড়ায়।”
কিছু দিন আগেই বিমানবন্দরে সাদা ঢাউস বালিশ নিয়ে ঢুকে হাসির খোরাক হয়েছিলেন শ্রীদেবী-কন্যা জাহ্নবী কপূর। অনেকেই বলাবলি করছিলেন, হোটেল থেকে নির্ঘাত বালিশ চুরি করে এনেছেন জাহ্নবী! সেই ঘটনার পর পরই সারার বালিশ চুরির গল্পে অভিনেত্রীদের বিনিদ্র রাতের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
তবে সারার কীর্তি অনন্যসাধারণ। ভিকির মুখ থেকেই শোনা যায়, এক দিনের জন্য আবু ধাবি গিয়ে রোমিংয়ের জন্য আলাদা করে ফোন রিচার্জ করেননি সারা। ৪০০ টাকা বাঁচাতে হেয়ারড্রেসারের কাছ থেকে ধার করেছিলেন ওয়াইফাই হটস্পট! ভিকি হাটে হাঁড়ি ভাঙলে এ কথাও নিজমুখেই স্বীকার করে নেন সইফ-কন্যা।
এর আগে ১৬০০ টাকা দিয়ে অভিনেত্রীর মা টাওয়েল কিনেছিলেন বলে সারা তাঁর উপর কেমন চোটপাট করেছিলেন, সে গল্পও ফাঁস করেছিলেন ভিকি। জানা যায়, জাহ্নবী কপূরের সঙ্গে কেদারনাথে গিয়ে সাধারণ হোটেলে ছিলেন সারা। তিনি যে তারকা হয়েও মিতব্যয়ী, এ কথা স্বীকার করে নিতে কিছুমাত্র লজ্জিত নন সইফ-কন্যা। জানান, বাবা-মায়ের থেকেই পেয়েছেন এই স্বভাব।