—প্রতীকী চিত্র।
রুপোলি পর্দার হাতছানি উপেক্ষা করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। বিশেষত, বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন এমন পরিচালকের কাছে সুযোগের প্রতিশ্রুতি পেলে তা এড়িয়ে যেতে পারেন না অনেকেই। সেই ফাঁদে পা দিয়েই ফের যৌন হেনস্থার শিকার এক নাবালিকা।
কেরলের কোঝিকোড়োর ঘটনা। এক নাবালিকাকে মূলধারার ছবিতে অভিনেত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত ওই পরিচালক। সম্প্রতি এক মালয়ালম ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত জাসিক আলি। ৩৬ বছর বয়স্ক ওই পরিচালক নাকি ওই নাবালিকাকে আশ্বাস দেন, নিজের পরবর্তী ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ করে দেবেন তাকে। পরিচালকের কথায় ভরসা করে তাঁর সঙ্গে একাধিক জায়গায় যেতে রাজি হয় ওই নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিভিন্ন জায়গা নিয়ে গিয়েই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালান অভিযুক্ত পরিচালক।
একাধিক বার এমন ঘটনা ঘটার পর কোয়িলান্ডি থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের তরফে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। অবশেষে নাদাক্কভু থেকে অভিযুক্ত পরিচালক জাসিক আলিকে পাকড়াও করে পুলিশ। নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করার পর পালিয়ে গিয়ে একাধিক জায়গায় লুকিয়ে ছিলেন অভিযুক্ত, দাবি পুলিশের। নাদাক্কভু থেকেও পালানোরই ছক ছিল জাসিক আলির। সেখান থেকে পালানোর সময়েই তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। দিন কয়েক আগে মুম্বইয়ে এক কাস্টিং ডিরেক্টরের হাতে হেনস্থার শিকার হন ১৮ বছর বয়সের এক তরুণী। অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে অভিযুক্ত কাস্টিং ডিরেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ওই তরুণী। তরুণী অভিযোগ করেন, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে তাঁকে আঘাত করেন কাস্টিং ডিরেক্টর। আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারানোর পরে তাঁকে মৃত মনে করে তরুণীকে ফেলেই পালিয়ে যান কাস্টিং ডিরেক্টর। পরে জ্ঞান ফিরে আসার পর ভারসোভা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। অভিযোগ পেয়ে গুজরাতের সুরত থেকে দীপক মালাকার নামক ২৬ বছর বয়সি ওই কাস্টিং ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।