প্রতীকী ছবি।
মায়ানগরীতে ফের কাস্টিং ডিরেক্টরের হাতে হেনস্থার শিকার ১৮-র তরুণী। অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে অভিযুক্ত কাস্টিং ডিরেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ওই তরুণী। তরুণীর অভিযোগ, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে তাঁকে আঘাত করেন কাস্টিং ডিরেক্টর। আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারানোর পরে তাঁকে মৃত মনে করে তরুণীকে ফেলেই পালিয়ে যান কাস্টিং ডিরেক্টর। পরে জ্ঞান ফিরে আসার পর ভারসোভা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। গুজরাতের সুরত থেকে দীপক মালাকার নামক ২৬ বছর বয়সি ওই কাস্টিং ডিরেক্টরকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
খবর, বছর খানেক আগে সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ হয় উক্ত তরুণী ও অভিযুক্ত ওই কাস্টিং ডিরেক্টরের। পু্লিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তরুণীর বাবা-মায়ের সঙ্গেও নাকি দেখা করেছিলেন অভিযুক্ত দীপক মালাকার। এমনকি, অভিযুক্তকে নিজেদের বাড়িতেও থাকতে দিয়েছিলেন তরুণীর বাবা-মা। সেই সময় তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন দীপক। তবে তরুণী বার বার তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। নিজের কেরিয়ারের দিকে মন দিতে চান তিনি, এ কথা জানালে দীপক তাঁকে আশ্বাস দেন যে, তিনি বলিউডে তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেবেন।
দীপকের এই ফাঁদে পা দিয়েই তাঁর সঙ্গে তাঁরই এক বন্ধুর বাড়িতে আসেন ওই তরুণী। সেখানেও তরুণীকে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দেন দীপক। তরুণী ফের তা প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে মাথায় ও মুখে আঘাত করতে থাকেন দীপক। মাথায় চোট পেয়ে জ্ঞান হারালে তিনি মারা গিয়েছেন ভেবে তরুণীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান দীপক।
জ্ঞান ফিরে এলে প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে ভারসোভা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীত তরুণী। শোনা যাচ্ছে, মাথায় ও মুখে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসার পরে আপাতত কিছুটা স্থিতিশীল তিনি। খবর, তরুণীকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। টাকা তোলার জন্য এটিএম কার্ড ব্যবহার করলে, সেই সূত্র ধরে তাঁর খোঁজ পায় পুলিশ। মালাকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৫৪ (নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ), ৩৫৪এ (যৌন নিগ্রহ) ও ৩৪২ (অন্যায় ভাবে আটকে রাখা) ধারায় অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আপাতত পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন অভিযুক্ত দীপক মালাকার।