মেয়ে আদিরার সঙ্গে রানি ফাইল চিত্র।
প্র: দীর্ঘ দিন পরে বড় পর্দায় ছবি মুক্তি পাচ্ছে। কতটা টেনশন হচ্ছে?
উ: খুবই উত্তেজিত আমি। এত দিন পরে যে সিনেমা হল খুলেছে আর কোভিডের ভয় কাটিয়ে যে সেখানে দর্শক আসছেন, এটা আশার কথা। ‘বান্টি অওর বাবলি টু’ পুরোদস্তুর পারিবারিক ছবি। ক্লিন কমেডি বলতে যা বোঝায়, সেটা এ ছবিতে ভরপুর। তাই আশা করছি, সব বয়সের দর্শক ছবিটা উপভোগ করবেন। এত দিন পরে আমাদের ছবি বড় পর্দায় দেখে দর্শকের কী প্রতিক্রিয়া হয়, সেটা দেখার জন্য আমি খুবই উৎসুক।
প্র: এত বছর পরে নিজের পুরনো চরিত্রে ফের অভিনয় করে কেমন লাগল?
উ: প্রায় ১৬ বছর পরে বাবলির চরিত্রটা আবার করলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম, একটু মুশকিল হবে। কিন্তু যেই সেটে গিয়ে ক্যামেরার সামনে সংলাপগুলো বললাম, জমে গেল! চরিত্রটা আসলে আমার সঙ্গেই ছিল এত বছর। সহজেই এসে গেল। সেফের সঙ্গে আমার জুটিও জমে গিয়েছিল সেটে।
প্র: এত দিন পরে সেফ আলি খানের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
উ: সেফকে বহু বছর ধরে চিনি, প্রচুর ছবি করেছি একসঙ্গে... এ বার অনেক দিন পরে কাজ করে খুব ভাল লেগেছে দু’জনেরই। আমার মেয়ে আর ওর ছেলে... শুটিংয়ের ফাঁকে নিজেদের বাচ্চাদের নিয়েই গল্প করতাম। আর কাজের ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরকে খুবই সম্মান করি। আমাদের রসায়নের প্রতিফলন তাই পর্দাতেও দেখতে পান দর্শক। এত দিন পরে একসঙ্গে এই ছবিটা করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম, আসলে আমরা একে অন্যের সঙ্গে কাজ করতে খুবই ভালবাসি। নিজেরা মাঝে মাঝে বলছিলামও যে, আমাদের জুটি করে আরও বেশি ছবি হওয়া উচিত।
প্র: নতুন বান্টি-বাবলির জুটিতে সিদ্ধান্ত-শর্বরীর কাজ কেমন লাগল?
উ: খুবই প্রতিভাবান দু’জন অভিনেতা। ওরা খুব পরিশ্রমও করেছে বান্টি-বাবলির নতুন জুটিটা ফুটিয়ে তোলার জন্য। ছবিতে ওদের আর আমাদের পুরনো জুটির মধ্যে একটা মজার দ্বন্দ্ব দেখা যাবে।
প্র: এ ছবির আউটডোর শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
উ: আবু ধাবিতে খুব মজা করে শুটিং করেছিলাম। আউটডোরে আমার মেয়ে আদিরাও গিয়েছিল। ওখানে গিয়ে জায়গাটা ওর এত পছন্দ হয়ে গিয়েছিল যে, এখনও মাঝে মাঝেই বলে, ‘মা আবার কবে আমরা আবু ধাবি যাব?’ ওখানকার এমিরেটস প্যালেসে শুটিং করেছিলাম।
প্র: ‘মর্দানী’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির পরের ছবি কবে আসবে?
উ: এখনও ‘মর্দানী থ্রি’র স্ক্রিপ্ট লেখা হয়নি। আমি তো চাই পরিচালক শিগগিরই চিত্রনাট্যটা লিখে ফেলুক আর ছবিটা তাড়াতাড়ি শুরু হোক। সাধারণত আমরা যখন কোনও চরিত্রে অভিনয় করি, সেটা সিনেমা হল থেকে চলে যাওয়ার পরে আমাদের জার্নিটাও তখনকার মতো শেষ হয়ে যায়। ‘মর্দানী টু’র সময়ে আমি প্রথম বার উপলব্ধি করেছিলাম যে, চরিত্রটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমায়। এত দিন পরে বাবলির চরিত্রটা করতে গিয়েও ঠিক একই অনুভূতি হয়েছিল আমার।
প্র: ‘যশ রাজ ফিল্মস’-এর বাইরে বেরিয়ে সম্প্রতি ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সাস নরওয়ে’র শুটিং করলেন বিদেশে গিয়ে...
উ: খুবই ভাল সেই অভিজ্ঞতা। এস্টোনিয়ায় শুটিংয়ের গল্প নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে আমার। তবে সেগুলো এখন নয়, ছবিটা মুক্তির আগে বলব।
প্র: শোনা যাচ্ছে, ‘যশ রাজ ফিল্মস’ ওটিটি-তে পা রাখতে চলেছে। ওয়েবে কাজ করা নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
উ: কোনও পরিকল্পনা নেই এখনও পর্যন্ত। ওয়েব নিয়ে কিছু ভাবিনি এখনও। আদি (আদিত্য চোপড়া) চেয়েছিল, আমাদের ছবিটা বড় পর্দাতেই আসুক। ও ছবিটা নিয়ে এতটাই উচ্চাকাঙ্ক্ষী যে সেটা ওটিটি-তে দেয়নি। ‘বান্টি অওর বাবলি টু’ যাতে বড় পর্দায় আসে, তার জন্য প্রায় দেড় বছর অপেক্ষা করেছি আমরা। গত বছর জুনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটা। অপেক্ষা করেছি সব স্বাভাবিক হওয়ার জন্য। কোভিডের পরে ‘সূর্যবংশী’ মুক্তি পাওয়ার ফলেই মানুষ হলে ফিরেছেন। আশা করছি, ‘বান্টি অওর বাবলি টু’র জন্যও তাঁরা আসবেন।
প্র: আদিরা এখন একটু বড় হয়েছে। মা-কে পর্দায় দেখে ওর প্রতিক্রিয়া কী রকম?
উ: এই প্রথম বার বড় পর্দায় মা-কে দেখবে আদিরা। ও শুরু থেকেই ছবিটা নিয়ে খুবই উত্তেজিত। অনেক রকম পরামর্শও দিয়েছে আমাকে। এই সপ্তাহেই ওকে দেখাতে নিয়ে যাব ওর মা-এর ছবি! ও কী বলে, শোনার অপেক্ষায় আছি।