চেতনাই ছিলেম ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী
কন্নড় অভিনেত্রী চেতনা রাজের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় সরব হলেন তাঁর বাবা ভারদারাজু রাজ। অভিযোগ, জনৈক ক্লিনিকের ডাক্তার অর্থের লোভে তাঁর মেয়েকে খুন করেছেন। মেয়েও ঘরে ফিরল না, জলে গেল কষ্টার্জিত দেড় লাখ টাকাও। এখন তিনি কী করবেন?
মেদ ঝরিয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চেয়ে বাড়িতে না জানিয়েই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন ২১ বছরের চেতনা। তবে অস্ত্রোপচারের পর তাঁর ফুসফুসে জল জমে গিয়েছিল। প্রবল শ্বাসকষ্টের মধ্যে যন্ত্রণার প্রহর গুণে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে কন্নড় অভিনেত্রীর।
ভারদারাজু বলেছেন, "আমরা জানতে পেরেছি, ওই ক্লিনিকের বৈধ লাইসেন্স নেই। কী ভাবে তাদের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানি না। এই ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে।"
১৬ মে মৃত্যু হয় কন্নড় ছোট পর্দার অভিনেত্রী চেতনার। তার পরই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাবা-মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুব্রহ্মণ্য নগর থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। অবৈধ ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেতনার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে।
অন্য দিকে, বেঙ্গালুরু জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন, চেতনা 'ফ্যাট ফ্রি' প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ক্লিনিকের কসমেটিক সার্জারি করার প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছিল না।
ডিএইচও ডা: শ্রীনিবাস জানান, এটি মূলত পলি-ক্লিনিক। লেজার সার্জারি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। বেঙ্গালুরু জেলা কালেক্টর অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সেই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
কিন্তু ভারদারাজু এত কিছু বুঝতে নারাজ। তাঁর দাবি, মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। চেতনাই ছিলেন ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।