শাহরুখের দেহ কবর দিয়ে করিনার অস্থি বিসর্জন
বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছিল ‘রা.ওয়ান’ সুপারহিরো ছবির পেছনে। সুপারহিট করার দায়ভার কাঁধে নিয়েছিলেন স্বয়ং কিং খান। প্রযোজক হিসেবে কোথাও কার্পণ্য করেননি তিনি। বিশাল সেট, বিশাল আয়োজন, বড় তারকা, জটিল প্রযুক্তি, কী না ছিল! কিন্তু বৃহৎ ভাবে ভাবতে গিয়ে সূক্ষ্মতম জায়গাগুলি এড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রযোজক শাহরুখ ও পরিচালক অনুভব সিংহ।
সূক্ষ্ম হলেও গাফিলতিটা এক বার চোখে পড়লে শেষ! কিছু দর্শকের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছিল। কারও হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গিয়েছিল। কেউ বিশ্বাসই করত পারেননি এই ভুলটা করা যায়। কেউ আবার গম্ভীর সমালোচনায় মগ্ন হয়েছিলেন।
কী হয়েছিল সে ছবিতে?
দু’টি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান। এক জন বিজ্ঞানী। অপর জন বিজ্ঞানের ফলশ্রুতি, রোবট। বিজ্ঞানীর নাম ছিল শেখর সুব্রহ্মণ্য। দক্ষিণ ভারতের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। কিন্তু ছবির মাঝে খলনায়কের হাতে মৃত্যু হয় শেখরের। এখানেই সামান্য অমনোযোগী হয়ে পড়েছিলেন পরিচালক। শেখরের দেহ সৎকার না করে কাঠের কফিনে কবর দেওয়া হয়। তার পরমুহূর্তে শেখরের বিধবা স্ত্রী করিনা কপূর অভিনীত চরিত্র সোনিয়াকে দেখা যায় সাদা সালোয়ার পরে স্বামীর অস্থি বিসর্জন দিচ্ছে নদীতে। পাশে সাদা পোশাকে তাদের ছেলে দাঁড়িয়ে। প্রশ্ন জাগে, কবর থেকে তুলে এনে কি তবে হিন্দুমতে দেহ পোড়ানো হয়েছিল? উত্তর মেলেনি। তবে দর্শকদের কাছে মশকরা করার রসদ পৌঁছাতে দেরি হয়নি।
পরিচালককে এই ছবির জন্য অনেক সমালোচনা ও ট্রোলের শিকার হতে হয়েছিল। ‘মুল্ক’, ‘আর্টিকেল ১৫’, ‘থাপ্পড়’-এর মতো প্রশংসিত ছবি বানানোর পর তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে জৌলুস ফেরে।