(বাঁ দিকে)প্রিয়ঙ্কা চোপড়া (ডান দিকে) দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড থেকে হলিউডে গিয়ে নিজের পসার জমিয়েছেন যে সব অভিনেত্রী, তাঁদের মধ্যে সব থেকে সফল প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তাঁর পিছু পিছু গিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন, তার অনেক পরে আলিয়া ভট্ট। প্রথম দু’জন আন্তর্জাতিক তারকা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেও খানিক পিছিয়ে রয়েছেন মহেশ-কন্যা। যদিও প্রিয়ঙ্কা-দীপিকা মুখে যতই একে অপরের প্রশংসা করুন না কেন, চাপা প্রতিযোগিতা কি রয়েই গিয়েছে দুই অভিনেত্রীর মধ্যে? হলিউডের জন্য বদলে ফেলা বাচনভঙ্গি ও দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দীপিকার মন্তব্য নিয়ে বেশ জলঘোলা হচ্ছে। নিন্দকেদের দাবি ঠারেঠোরে প্রিয়ঙ্কাকেই নাকি কটাক্ষ করেছেন দীপিকা!
প্রায় দশ বছরের চেষ্টায় হলিউডে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন প্রিয়ঙ্কা। আমেরিকার পপ তারকা নিক জোনাসকে বিয়ে করে সেখানেই সংসার পেতেছেন। তবে বার বার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কখনও গায়ের রং, কখনও আবার কথা বলার ধরন নিয়ে। প্রতি বারই বলা হয়েছে প্রিয়ঙ্কা নাকি জোর করে বিদেশিদের মতো কথা বলার চেষ্টা করছেন। যদিও পরে এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এটা ঠিক আমি আমার কথা বলার ধরন প্রতি সপ্তাহে বদলাতে থাকি। কারণ আমাকে ও আমার স্বামীকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। সেই কারণেই আমরা দেশ অনুযায়ী কথা বলার ধরন বদলাতে থাকি।’’
এটার বিপক্ষে দীপিকা। তিনি ভারতীয় হওয়ায় গর্বিত, এবং আন্তর্জাতিক তারকার তকমা পেতে কিংবা বাইরের দেশে কাজ পেতে নিজের বাচনভঙ্গি বদলাতে নারাজ। দীপিকার কথায়, ‘‘আমি অভিনেত্রী হয়ে আন্তর্জাতিক তারকার তকমা পেতে চাই না। আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে উঠতে শুধু সিনেমা নয়, আরও অনেকগুলি দিক রয়েছে। নিজের স্বতন্ত্রতা বজায় রেখেই এই তকমা পেতে চাই। আর আমি বিশ্বের যে প্রান্ত থেকে আসছি তাঁর জন্য মোটেও লজ্জিত নই। তাই আমার মনে হয় না ভাল কাজ পেতে হলে আমাকে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যেতে হবে কিংবা কথা বলার ধরন বদলে ফেলতে হবে।’’ যদিও অম্বানিদের বাড়ির অনুষ্ঠানে প্রিয়ঙ্কা-দীপিকাকে বেশ সৌজন্য বিনিময় করতেই দেখা গিয়েছে।