চারু আসোপা-রাজীব সেন। ছবি: সংগৃহীত।
চার বছরের দাম্পত্যজীবন। একাধিক চড়াই-উতরাইয়ের পরে অবশেষে সেই দাম্পত্যে ইতি টেনেছেন সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন ও চারু আসোপা। মাত্র সপ্তাহ খানেক আগেই আইনি ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে যুগলের। সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই খবর জানিয়েছিলেন রাজীব। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর গলাতেই উল্টো সুর। প্রাক্তন স্ত্রী চারুকে আবার ফিরে পেতে চান রাজীব, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করলেন সুস্মিতার ভাই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজীব বলেন, ‘‘আমার মেয়ে যেখানে জড়িয়ে, সেখানে ভালবাসা শেষ হওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। চারু আর আমি চিরকাল একে অপরের ভাল চাইব, আমাদের মেয়ে জিয়ানা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, চারুও। আমার নিঃশর্ত ভালবাসা সব সময় ওর সঙ্গে থাকবে। আমি এও আশা করি যে, ভবিষ্যতে কোনও এক দিন চারু আর আমার পথ আবার এক হবে।’’ বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটলেও চারুর সঙ্গে আবার ঘর বাঁধার জন্য এক বাক্যে রাজি রাজীব, তা স্পষ্ট তাঁর কথাতেই। অন্য দিকে, রাজীবের জন্য সব সময় শুভকামনা করবেন তিনি, জানিয়েছেন চারুও। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘রাজীব ও আমি বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটলেও আমাদের মেয়ে জিয়ানার জন্য আমরা সব সময় নিজেদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।’’
গত ৮ জুন আইনি ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয় রাজীব ও চারুর। শেষ দুই বছরে রীতিমতো ঝড় বয়ে গিয়েছে তাঁদের জীবনে। ২০১৯ সালের জুন মাসেই গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন রাজীব ও চারু। দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের বিয়ে দিয়েছিলেন দিদি সুস্মিতা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। দাম্পত্যকলহের কথা প্রকাশ্যে আসে একাধিক বার। চরমে ওঠে যুগলের সংঘাত। মেয়ে জিয়ানাও এক ছাদের তলায় রাখতে পারেনি রাজীব ও চারুকে। জিয়ানাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন চারু। তার পরেও মেয়ের মুখ চেয়ে একাধিক বার নিজেদের সম্পর্ককে সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তার পরেও হয়নি শেষরক্ষা। গত ছয় মাস আলাদা থাকার পর অবশেষে ৮ জুন আইনি ভাবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন রাজীব ও চারু।