Samantha Ruth Prabhu on her disease

নুন, চিনি সব বাদ! ওষুধে পেট ভরাচ্ছেন সামান্থা, জানালেন যত কষ্ট হয়েছে তত কাজ করেছেন

হেরে যাওয়া অভিধানে নেই সামান্থার! রোগের গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসার দীর্ঘ লড়াই সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিলেন তিনি। ঘৃণা নয়, ভাললাগা দিয়ে মনকে আচ্ছন্ন করতে চান তিনি। যত কাবু হয়েছেন তত কাজ করেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ১৯:০৫
Samantha Ruth Prabhu reflects on one year since myositis diagnosis

সামান্থা রুথ প্রভু। —ফাইল চিত্র

বিরল রোগ মায়োসাইটিসের কবলে পড়েও কাজ থেকে সরে দাঁড়াননি দক্ষিণী তারকা সামান্থা রুথ প্রভু। কোনও কিছুর জন্যই পেশাদার জীবনকে অবহেলা করতে চান না তিনি। কর্মনিষ্ঠাই তাঁকে নিয়ে এল এত পথ?

এক বছর মায়োসাইটিস নিয়ে লড়াইয়ের পর মুখ খুললেন সামান্থা। অভিনেত্রীর দাবি, একটি রোগ এসে তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। নিজেকে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পেরেছিলেন তিনি। তাতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসায় আছেন এখনও, ধীরে ধীরে আরোগ্যলাভ করছেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। কারণ এই রোগে পেশিতে প্রদাহ বাড়ে। সুস্থ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগছে তাঁর। অসুস্থতাকে হার মানিয়েই রাজ এবং ডিকে’র ‘সিটাডেল’ সিরিজ়ের শুটিং শেষ করেছিলেন তিনি।

Advertisement

মাঝে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছে সামান্থাকে। কেবল চেয়ে গিয়েছেন মনোবল। বাকিটুকু তিনি নিজেই করে নিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এক বছর হয়ে গেল রোগ ধরা পড়ার। আমি এখন নতুন জীবনে মানিয়ে নিয়েছি। নুন খাওয়া যাবে না, চিনিও না! তার বদলে একগাদা ওষুধ দিয়েই পেট ভরাচ্ছি। হঠাৎ করে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে অন্য নিয়মে অভ্যস্ত হচ্ছে আমার শরীর। মানসিক টানাপড়েনেও বিধ্বস্ত হয়েছি।”

কোনও কিছুর অর্থ খুঁজে পাচ্ছিলেন না সামান্থা। দিশাহারা লাগছিল তাঁর। এক বছর ধরে পুজো-অর্চনা করার কথা স্বীকার করে নেন অভিনেত্রী। তবে আশীর্বাদ বা উপহার কিছুই চাইছিলেন না। সামান্থার কথায়, “শুধু শান্তি আর মনের জোর প্রার্থনা করছিলাম। এই একটা বছর আমায় শিখিয়েছে, সব সময় পথ মসৃণ হয় না। সব থেকে বড় কথা হল, খারাপ থাকাটাও স্বাভাবিক, সেটাকে মেনে নিতে শিখেছি।”সামান্থার উপলব্ধি, সাফল্যের মাপকাঠি আলাদা আলাদা। ঘটা করে যেটা হল না বটে, তবু লড়ে যাওয়া এবং এগিয়ে যাওয়া আরও বড় সাফল্য তাঁর কাছে এখন। তাঁর কথায়, “ঘৃণা আমার মনকে আচ্ছন্ন করে দেবে, এমনটা হতেই দেব না। যা ভালবাসি সেটাকেই সত্যি করে রাখব। বসে বসে দুঃখ করা আমার ধাতে নেই। তা-ই করব, যার দাম আছে।”

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে প্রায় ১৩ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন সামান্থা। সামান্থার পারিশ্রমিক বাড়ে ‘পুষ্পা’ ছবিতে। পাঁচ মিনিটের আইটেম নম্বর ‘উ আন্তাভা’র জন্য ৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান অভিনেত্রী। এই আইটেম নম্বরের আগে ছবির নায়িকা হিসাবে তাঁর পারিশ্রমিক ছিল প্রায় ৩ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে সামান্থা চর্চায় রয়েছেন তাঁর আগামী সিরিজ়ের কারণে। ‘সিটাডেল’ সিরিজ়ের ভারতীয় সংস্করণেই নাকি ১০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন অভিনেত্রী! নতুন কাজেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেই সঙ্গে। রোম্যান্টিক কমেডি ‘খুশি’ তৈরি হচ্ছে শিব নির্ভানার পরিচালনায়। সেখানেই বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে দেখা যাবে তাঁকে। চলতি বছর ১ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসছে সেই ছবি।

আরও পড়ুন
Advertisement