সপ্তাহব্যাপী ‘নবরূপে নববর্ষ’
এই প্রজন্ম মিস করেছে বাংলা নতুন বছরের প্রভাতফেরি। সান্ধ্য মজলিশও দেখেনি তারা। গত বছর থেকে সব কিছুর উপরে ‘খাঁড়ার ঘা’ অতিমারি। নতুন পোশাকে সেজে সদলবলে বাইরে বেরোনোর পরিকল্পনাতেও ইতি।
বিনোদনও কি থাকতে নেই বচ্ছরকার দিনে? সেই আয়োজনেই ব্যস্ত জি বাংলা, স্টার জলসা। বিকেল থেকে সন্ধে হয়ে রাত, বাঙালি যাতে অন্দরমহলেই আড্ডা জমাতে পারে তার জন্য হাজির মিঠাই, রাধিকা, গঙ্গারাম, রিয়েলিটি শো-এর ২ দিদি সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত তারকা। তাঁদের নাচ, গান, আড্ডা, আনন্দ একবারের জন্যও মনে পড়তে দেবে না, সময় সত্যিই কঠিন।
বিনোদনের কোন পসরা উপুড় হবে পয়লা বৈশাখে? ১২ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল অবধি রোজ বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী ‘নবরূপে নববর্ষ’ চলবে জি বাংলায়। ‘সুদীপার রান্নাঘর’ আর ‘দিদি নম্বর ১’-এ সুদীপা এবং রচনার তত্ত্বাবোধনে ভাল-মন্দ খানাপিনার সঙ্গে খেলাধুলোও হবে। থাকবেন, গীতশ্রী রায়, বিশ্বনাথ বসু, অন্বেষা হাজরা, ঊষসী রায়, মানসী সিংহ, নীলাঞ্জন ঘোষ, ইমন চক্রবর্তী।
নববর্ষের সন্ধেবেলা মিঠাইয়ের শ্বশুরবাড়ি অর্থাৎ মোদক বাড়িতে বেজায় ভিড়। সান্ধ্য আড্ডা আর হালখাতা নিয়ে রাত ৮টায় চলে আসবেন কর্ণ-রাধিকা, দীপু-অপু, অপূর্ব-পারমিতা, ঊর্মি আরও অনেকে। থাকবেন মোদক বাড়ির সদস্যরাও। নাচ, গান হুল্লোড় চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
বাংলার উৎসবে মাটির গন্ধ থাকবে না?
সেই ভাবনা মাথায় রেখেই স্টার জলসার আসর বসবে শান্টু-পূর্ণার বাড়িতে। যেখানে গান-বাজনা করতে আসবে গঙ্গারাম-টায়রা। সেই ফাঁকে ‘মাথামোটা’ স্বামীদের নিয়ে ঘরকন্নার জ্বালাও নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে পূর্ণা-টায়রা। মাটির কাছাকাছি থাকা ২ জোড়া দম্পতির কাণ্ড-কারখানা দেখা যাবে রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।