সমাজমাধ্যমে একের পর এক পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আটকে পড়া যাত্রীরা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তাইল্যান্ডের ফুকেটে প্রায় ৮০ ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার দিল্লিগামী একটি বিমান। তাতে সওয়ার ছিলেন শিশু এবং বৃদ্ধ মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন। সমাজমাধ্যমে একের পর এক পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আটকে পড়া যাত্রীরা। বিমান সংস্থার দাবি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
যাত্রীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ নভেম্বর রাতে ফুকেট থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল বিমানটির। কর্মীদের তরফে সে সময় জানানো হয়, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিমানটি ছ’ঘণ্টা দেরিতে উড়বে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার পর বিমানে চাপতে বলা হয় তাঁদের। এক ঘণ্টা বিমানের ভিতরে বসে থাকার পর আবার তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার আবার বিমানটি ওড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আবার সেটি অবতরণ করে বলে দাবি যাত্রীদের। তাঁরা জানিয়েছেন শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয় উড়ান।
এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিমানটি বাতিল করা হয়েছে। তাদের দাবি, যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য সব রকম চেষ্টা করেছেন কর্মীরা। কিছু যাত্রীকে হোটেলে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে। সংস্থা বিবৃতি দিয়ে আরও বলেছে, ‘‘কয়েক জন যাত্রীকে বিকল্প বিমানের টিকিট কিনে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা টিকিট বাতিল করেছেন, তাঁদের পুরো মূল্য ফেরত দেওয়া হয়েছে। কাউকে কাউকে সংস্থার অন্য বিমানে আসন দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দেয় এয়ার ইন্ডিয়া।’’
যদিও যাত্রীরা বিমান সংস্থার এই দাবি মানছেন না। সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, এ দিন সকাল পর্যন্ত ফুকেট বিমানবন্দরে ওই বিমানের ৪০ জন যাত্রী আটকে ছিলেন। সন্ধ্যার মধ্যে তাঁদের দিল্লি পাঠানো হবে।