‘‘ডাব্বাওয়ালাদের পরিশ্রম ও কর্তব্যবোধকে সেলাম’’, সমাজমাধ্যমে লেখেন কপিল শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
মনে করুন, আপনার ট্রেন দেরি করেছে। আপনার হয়তো অফিসে পৌঁছতে দেরি হয়ে গিয়েছে। গিয়ে দেখলেন, আপনার টেবিলে টিফিন কিন্তু ঠিক সময় মতো এসে গিয়েছে। নেপথ্যে ডাব্বাওয়ালা।
অথবা ধরুন, বাড়িতে খাবার তৈরি করতে পারেননি। প্রিয়জনকে টিফিনে কী দেবেন ভেবে পাচ্ছেন না। কোনও চিন্তা নেই, ডাব্বাওয়ালা আছে তো!
মুম্বইয়ে একটা কথা বহুল প্রচলিত, ‘যত ক্ষণ ডাব্বাওয়ালা আছে, তত ক্ষণ কোনও চিন্তা নেই’। এ বার সেই ডাব্বাওয়ালাদের নিজের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেন কমেডিয়ান কপিল শর্মা। ‘মুম্বইয়ের গর্ব’, ক্যাপশনে এ কথা লিখে ডাব্বাওয়ালাদের সঙ্গে নিজের ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন এই বলিউড অভিনেতা।
সাদা পোশাক, সঙ্গে মাথায় গান্ধী টুপি। শুধু টিফিন পৌঁছে দেওয়া নয়, মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালা যেন নিয়মানুবর্তিতার জীবন্ত দৃষ্টান্ত। ‘‘ট্রেন দেরি করতে পারে, বাস দেরি করতে পারে, আমাদের ভাইয়েরা কিন্তু ঠিক সময়ে পৌঁছে যান,’’ সমাজমাধ্যমে লেখেন কপিল শর্মা। গোটা মুম্বই শহরে প্রতি দিন দু’ লক্ষের বেশি মুম্বইবাসীর কাছে টিফিন পৌঁছে দেন ডাব্বাওয়ালারা। এই গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করেন প্রায় পাঁচ হাজার ডাব্বাওয়ালা। শুধু নিয়মানুবর্তিতাই নয়, মুম্বই শহর ও শহরের বাসিন্দাদের প্রতি ওঁদের দায়িত্ববোধেরও প্রশংসা করেন ‘জ়ুইগাটো’ ছবির অভিনেতা। ‘‘ডাব্বাওয়ালাদের পরিশ্রম ও কর্তব্যবোধকে সেলাম’’, সমাজমাধ্যমে লেখেন জনপ্রিয় এই কমেডিয়ান।
কপিল শর্মার এই পদক্ষেপকে সমাজমাধ্যমে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ‘দ্য লাঞ্চবক্স’-এর অন্যতম প্রযোজক গুনীত মঙ্গাও। প্রসঙ্গত, ‘দ্য লাঞ্চবক্স’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালাদের। যে লাঞ্চবক্সের সৌজন্যে তৈরি সাজন আর ইলার সম্পর্ক, সেই খাবার ইলার ঠিকানা থেকে সাজনের অফিসে পৌঁছে দিত ডাব্বাওয়ালারাই।