বনি কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে তাঁর একাধিক পরিচিতি। একাধারে তিনি অভিনেত্রী শ্রীদেবীর স্বামী এবং জাহ্নবী কপূরের বাবা। আবার তিনি প্রযোজক। কিন্তু অনেকেই জানেন না, পরিচালক শক্তি সামন্তের সহকারী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন বনি কপূর। সেই সূত্রে কলকাতার সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র দীর্ঘ দিনের। রবিবার শহরে আসন্ন সিসিএল (সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ) এর সাংবাদিক বৈঠকে সেই আখ্যানই শোনালেন বনি।
বনি জানালেন, কলকাতা এবং দার্জিলিং মিলিয়ে শক্তি পরিচালিত ‘আরাধনা’, ‘অনুরোধ’ এবং ‘আনন্দ আশ্রম’ ছবিগুলির শুটিংয়ে তিনি বাংলায় উপস্থিত ছিলেন। এ রাজ্যে রাজেশ খন্নাকে নিয়ে শুটিংয়ের এক মজার আখ্যান শোনালেন বনি। দার্জিলিংয়ে রাজেশ খন্নার শুটিং দেখতে ভিড় করেছেন স্থানীয়েরা। এ দিকে তৎকালীন সুপারস্টারের কাছে অনুরাগীদের ঘেঁষতে দিচ্ছেন না বনি। প্রযোজক বললেন, ‘‘অনুরাগীরা প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন এবং পরিকল্পিত ভাবে তাঁদের হাতে আমি মার খেয়েছিলাম। নাক দিয়ে রক্ত পড়েছিল।’’ বনি আরও জানান, শুটিংয়ের শেষে ওই অবস্থায় গাড়িতে কলকাতা ফিরেছিলেন মুম্বইয়ের বিমান ধরতে। বনির কথায়, ‘‘আজও আমার সেই অভিজ্ঞতা মনে রয়েছে। সেই সফর আমাকে ভবিষ্যতের জন্য অনেকটাই শক্তি জুগিয়েছিল।’’
মুক্তির অপেক্ষায় বনির স্বপ্নের ছবি ‘ময়দান’। ফুটবলের প্রেক্ষাপটে অজয় দেবগন অভিনীত এই ছবির অন্যতম প্রযোজক বনি। ১৯৫২ থেকে পরবর্তী এক দশক ভারতীয় ফুটবল কোচ সইদ আব্দুল রহিমের জীবন অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। ২০১৯ সালে ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল। ছবি মুক্তি পেতে এতটা সময় লাগল কেন? আনন্দবাজার অনলাইনকে বনি বললেন, ‘‘মুম্বইয়ে ৬০ একর জমিতে ফুটবল মাঠ তৈরি করেছিলাম। ছ'শো থেকে আটশো জনের ইউনিট। তার পর অতিমারি হানা দিল। লকডাউনের জন্য ছবির শুটিং পিছিয়ে যায়।’’ বনি জানালেন, এই ভাবে তিন বার ছবির শুটিং ব্যাহত হয়। কিন্তু একজন ফুটবলপ্রেমী হিসাবে তিনি কোনও খামতি রাখতে চাননি।
‘ময়দান’কে মাথায় রেখে বনির মনে হয়েছিল, দেরি হলেও অমিত শর্মা পরিচালিত এই ছবিকে তিনি তাঁর সেরা ট্রিটমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করবেন। বনির কথায়, ‘‘কলকাতায় এসে সেই সময়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও দেখা করে অনেক নতুন তথ্য আমরা জানতে পেরেছিলাম। নতুন প্রজন্মের কাছে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগের গল্পকে তুলে ধরবে এই ছবি।’’
‘সিসিএল’-এ ‘বেঙ্গল টাইগার্স’ অর্থাৎ কলকাতা দলের মালিক বনি। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এই লিগ। যিশু সেনগুপ্তের নেতৃত্বে লিগের দশম সিজ়নে ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘কেরালা স্ট্রাইকার্স’-এর বিরুদ্ধে ‘বেঙ্গল টাইগার্স’-এর প্রথম ম্যাচ।