গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সম্প্রতি বলিউড প্রযোজক বাসু ভাগনানির অর্থনৈতিক সঙ্কট সংক্রান্ত খবর প্রকাশ্যে আসে। শোনা গিয়েছিল, অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ অভিনীত ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হওয়ার পর বাজারে তাঁর ২৫০ কোটি টাকা দেনা। বকেয়া অর্থ মেটাতে বাসু নাকি তাঁর মুম্বইয়ের বিলাসবহুল সাততলা অফিস (পূজা এন্টারটেনমেন্ট) বিক্রি করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সংস্থার সিংহভাগ কর্মীও ছাঁটাই করেছেন। তবে এ বার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বাসু।
শোনা গিয়েছিল, বাজারে প্রযোজনা সংস্থার প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ধার রয়েছে। ধার মেটাতে সাততলা অফিস প্রোমোটারের কাছে বিক্রি করেছেন বাসু। সেখানে নাকি তৈরি হবে একটি বিলাসবহুল আবাসন। শুধু তা-ই নয়, শোনা যাচ্ছে, সংস্থার প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাসুর পুত্র জ্যাকি ভাগনানিও প্রযোজক।
কিন্তু সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে যাবতীয় ঘটনাকে গুজব বলে দাবি করেছেন। লন্ডন থেকে বাসু জানিয়েছেন, তিনি অফিস বিক্রি করেননি। বরং অফিসটিকে মেরামতির জন্য একটি সংস্থাকে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে, সংস্থার কোনও কর্মীকেই ছাঁটাই করা হয়নি। বাসুর কথায়, ‘‘আমরা তো কাউকে চলে যেতে বলিনি!’’
বাসু জানিয়েছেন, সাফল্য ও ব্যর্থতা সিনেমারই একটা অংশ। তিনি নাকি ইতিমধ্যেই পরবর্তী প্রজেক্টের কাজে হাত দিয়েছেন। বাসু বলেন, ‘‘আমি একটা অ্যানিমেশন সিরিজ়ের কাজ শুরু করেছি। সেটা বেশ বড় আকারে তৈরি করা হবে।’’ ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’র পর বাসুর যে বাজারে কয়েকশো কোটি টাকা দেনা হয়েছে, সে কথাও তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। বাসুর মতে, যদি কারও কাছে তাঁর ধার থেকে থাকে, তা হলে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়ে তাঁরা তাঁর কাছে হাজির হতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁর নামে পাওনাদারদের মামলা করারও পরামর্শ দিয়েছেন বাসু। নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করলে, পরবর্তী দু’ মাসের মধ্যে তিনি তার সুরাহা করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন।
গত বছর এই সংস্থার অধীনে ‘মিশন রানিগঞ্জ’ও ‘গণপত’ মুক্তি পায়। কিন্তু দু’টি ছবিই সেই ভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। গত মাসে ইদে মুক্তি পায় ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’। প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ছবির বাজেট। কিন্তু বক্স অফিসে মাত্র ১১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ছবিটি। তার পর থেকেই বলিউডে বাসুর দেনার খবর চাউর হয়।