Bollywood scoop

প্রথম ছবির দুরন্ত সাফল্য সত্ত্বেও ‘ওএমজি ২’-তে দেখা নেই পরেশ রাওয়ালের, নেপথ্যে কী কারণ?

২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ওএমজি: ওহ মাই গড’। তার ১১ বছর পরে আগামী ১১ অগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে সিরিজ়ের দ্বিতীয় ছবি ‘ওএমজি ২’। গত ১১ জুলাই মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রথম ঝলক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ ১৭:২১
Paresh Rawal and Govind Namdev

‘ওএমজি: ওহ মাই গড’ ছবিতে পরেশ রাওয়াল এবং গোবিন্দ নামদেব। ছবি: সংগৃহীত।

প্রথম ছবি মুক্তি পেয়েছিল ২০১২ সালে। ছবির নাম ‘ওএমজি: ওহ মাই গড’। ছবিতে দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও পরেশ রাওয়াল। ভক্ত ও ভগবানের দৈনন্দিন সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল ছবি। এক দশকের বেশি সময় আগে মুক্তি পাওয়া ওই ছবি সাড়া জাগিয়েছিল বক্স অফিসে। তার ১১ বছর পরে আসতে চলেছে ছবির সিক্যুয়েল, ‘ওএমজি২’। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রথম ঝলক। আগামী ১১ অগস্ট মুক্তি পাওয়ার কথা ওই ছবির। ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অক্ষয় কুমারই। তবে এ বার আর পরেশ রাওয়ালের দেখা মেলেনি। বরং সেই জায়গায় এসেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। এমন এক হিট ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি, তার উপরে বক্স অফিসে সফল ছবি। কেন ছবি থেকে সরলেন পরেশ?

Advertisement

২০১২ সালে ‘ওএমজি: ওহ মাই গড’ ছবির সাফল্যের পরে ‘ওএমজি ২’ ছবিতেও অভিনয় করার কথা ছিল পরেশেরই। তবে তা আদপে সত্যি হয়নি। শোনা যাচ্ছে, প্রথম ছবির সাফল্যের পরে নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়েছিলেন পরেশ। সেই বাড়তি পারিশ্রমিক তাঁকে দিতে রাজি হননি ছবির নির্মাতারা। দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টার পরেও আর্থিক বোঝাপড়ায় এসে পৌঁছতে পারেনি দুই পক্ষ। সেই কারণেই নাকি ছবি করায় আর সম্মতি দেননি পরেশ। তিনি ছবি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সেই জায়গায় আসেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী।‘ওএমজি: ওহ মাই গড’ ছবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করার পর ‘ওএমজি ২’-তে মহাদেবের ভূমিকায় দেখা যেতে চলেছে অক্ষয়কে।

সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে অক্ষয়ের সেই লুকও। দিন কয়েক আগে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেতা। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায় মহাদেবের বেশ ধরেছেন অক্ষয়। মাথায় জটা, গলায় নীল আভা, চোখেমুখে ভস্ম মেখে বারাণসীর রাস্তায় হাঁটছেন তিনি। চারপাশে তখন ‘হর হর মহাদেব’ রব। তবে মুক্তির এক মাস আগেও ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে অতিরিক্ত সতর্কতার পথে হাঁটছে সেন্সর বোর্ড। ছবির গল্প বা সংলাপে যাতে সাধারণ দর্শকের ভাবাবেগে যাতে কোনও ভাবে আঘাত না লাগে, সেই ভাবনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত সেন্সর বোর্ডের।

Advertisement
আরও পড়ুন