সমাজের পুরুষতন্ত্র নিয়ে মুখ খুললেন আমির খান। ছবি: সংগৃহীত।
চালচলন বেপরোয়া, বিপরীত পক্ষের দিকে অকারণ আক্রমণ শানাতে সে দু’বার ভাবে না। বক্স অফিসে কেন এমন চরিত্র সফল? হঠাৎ ভারতীয় দর্শক কেন এমন পৌরুষের জয়জয়কারে মাতল? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হন আমির খান। অভিনেতা জানান, তিনি নিজেও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। এই ধরনের চরিত্রের বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়ানো প্রমাণ করে, সমাজ এখনও পুরুষতান্ত্রিক, এমনই মত অভিনেতার।
‘পুষ্পা’ হোক অথবা ‘অ্যানিম্যাল’। বক্স অফিসে শুধুই উগ্র পৌরুষের জয়জয়কার। নির্ভীক পুরুষের আগ্রাসন পর্দা জুড়ে। সেখানে নারী চরিত্রের উপস্থিতি কেবলই নাচের দৃশ্যের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করার জন্য। এই ধরনের ছবি তৈরির প্রবণতা সমাজকে আরও কয়েক দশক পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, জানালেন আমিরের। তাঁর কথায়, “এই ধরনের ছবি সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চাইলেও এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। মানুষের ভিন্ন মতামত থাকাই স্বাভাবিক। অনেকেই খুব শক্তিশালী ভাবে পুরুষতন্ত্রের প্রচার করে। আর কেউ কেউ আবার খুব সূক্ষ্ণ ভাবে বা চুপিসারে পুরুষতন্ত্রকেই তুলে ধরে।”
সমাজে এখনও মানুষের রন্ধ্রে রয়ে গিয়েছে পুরুষতন্ত্র। এমন বহু পুরুষ রয়েছেন, যাঁরা মনে করেন মহিলাদের স্বাধীনতায় ছড়ি ঘোরানোই তাঁদের অন্যতম কাজ। আমির বলেছেন, “পুরুষতন্ত্র এক দিনে উধাও হয়ে যাবে না। পুরুষতন্ত্রের বীজ বহু দিন ধরে বপন করা হয়েছে সমাজে। বহু পুরুষই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তারা মনে করে, মহিলাদের কতটা স্বাধীনতা পাওয়া উচিত, তা তাদের নিয়ন্ত্রণে। এটা মোটেই ভাল বিষয় নয়। আসলে এই বিষয়গুলির ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়।”
তিনি আরও বলেন, “গল্পের মাধ্যমে মানুষের মন পরিবর্তন করা দরকার। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। মানুষের আবেগকে স্পর্শ করা দরকার, ভাল গল্পের মাধ্যমে।”