শাশুড়ি মার্লিন আহুজার সঙ্গে ববি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছরে ভাগ্য ফিরেছে দেওল পরিবারের। ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ও ‘গদর ২’ ছবির বক্স অফিস সাফল্যে আলোচনায় ফিরেছেন ধর্মেন্দ্র ও তাঁর ছেলে সানি দেওল। সানির ছেলে কর্ণ দেওল গাঁটছড়া বেঁধেছেন পরিচালক বিমল রায়ের প্রপৌত্রী দৃশা আচার্যের সঙ্গে। সুসময়ে দূরত্ব ঘুচেছে ধর্মেন্দ্রর দুই পক্ষের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও। সৎদাদা সানির ‘গদর ২’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজন করেছেন এষা দেওল। অন্য দিকে, ‘গদর ২’ ছবি দেখে সৎছেলে সানিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন খোদ বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ ও ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হেমা মালিনী। এই সাফল্য ও আনন্দের আবহেই দেওল পরিবারে শোকের ছায়া। প্রিয়জনকে হারালেন দেওল পরিবারের অন্যতম পরিচিত সদস্য ও বলিউড অভিনেতা ববি দেওল।
প্রয়াত ববির শাশুড়ি মার্লিন আহুজা। ববির স্ত্রী তান্যা দেওলের মা তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন ববির শাশুড়ি। রবিবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আগেই বাবাকে হারিয়েছেন তান্যা। এ বার মাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ ববির স্ত্রী। কোটিপতি ব্যবসায়ী দেবেন্দ্র আহুজার মেয়ে তান্যা। ‘টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফিনান্স কোম্পানি’-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে প্রয়াত হন তিনি। তার ১৩ বছর পরে মাকেও হারালেন তান্যা। প্রিয়জন-বিয়োগে দেওল পরিবারে এখন শোকের ছায়া।
গত ১ সেপ্টেম্বর গোটা মায়ানগরী ব্যস্ত ছিল ‘গদর ২’ ছবির সাফল্য উদ্যাপনে। সেই পার্টিতে বসেছিল চাঁদের হাট। উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খান, আমির খান, সলমন খানের মতো তারকারা। ‘গদর ২’ ছবির বক্স অফিস সাফল্য উদ্যাপনে শামিল হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ মলহোত্র, কিয়ারা আডবাণী, কৃতি শ্যানন, কার্তিক আরিয়ান, সারা আলি খানের মতো নতুন প্রজন্মের তারকারাও। যদিও সেই পার্টিতে দেখা যায়নি হেমা মালিনী ও তাঁর দুই মেয়ে এষা ও অহনাকে।