অমিশা পটেল। ছবি: সংগৃহীত।
গত ১১ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল অনিল শর্মা পরিচালিত ছবি ‘গদর ২’। মুক্তি পাওয়ার প্রথম সপ্তাহেই ১০০ কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল সানি দেওল ও অমিশা পটেল অভিনীত এই ছবি। তখনই বলিউডের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা আঁচ করেছিলেন, লম্বা দৌড়ে আরও কয়েকশো কোটি টাকা অর্জন করবে ‘গদর ২’। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের অনুমানকে সত্যি প্রমাণ করে মুক্তি এক মাসের আগেই ৫০০ কোটির ঘরে পা রেখেছে এই ছবি। ছবির সাফল্যের উপর ভর করে বলিউডে নিজেদের জমি শক্ত করেছেন সানি ও অমিশা দু’জনেই। গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক ফ্লপ ছবির পরে অবশেষে ‘নাম’ হয়েছে দুই অভিনেতার। তবে ‘যশ’ হয়েছে কি?
২০০০ সালে রাকেশ রোশনের ‘কহো না... প্যার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ অমিশার। হৃতিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। তার পরের বছরই ‘গদর: এক প্রেম কথা’ ছবিতে সানির সঙ্গে জুটি বাঁধেন অমিশা। সেই ছবিও বক্স অফিসে সফল। তবে অমিশার সফল ছবির দৌড় সেখানেই শেষ। তার পরে একাধিক ছবিতে কাজ করলেও বক্স অফিসে তেমন ভাবে দাগ কাটতে পারেনি কোনও ছবিই। ব্যবসায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে নির্মাতাদের। তার ফলেই নাকি নিজেও কষ্টার্জিত পারিশ্রমিক খুইয়েছিলেন অমিশা। অমিশা জানান, ছবি ফ্লপ হলেই প্রযোজকদের নিজের পারিশ্রমিক ফেরত দিয়ে দিতেন তিনি। অমিশার কথায়, ‘‘আমার কাছে প্রযোজকরা এসে বলতেন, ছবি বক্স অফিসে চলেনি। আমার এত খারাপ লাগত যে, আমি আমার ভাগের পারিশ্রমিকের টাকা ফেরত দিয়ে দিতাম।’’ তবে অমিশার দাবি, কোনও প্রযোজকই কখনও তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য জোর করেননি।
বলিউডে সাফল্যে অর্জন করতে না পারলেও সময়ে সময়ে একাধিত বিতর্কে নাম জড়ানোর ফলে বরাবরই আলোচনায় থেকেছেন অমিশা। আর্থিক প্রতারণাতেও নাম জড়িয়েছিল বলিউড অভিনেত্রীর। অভিনয় থেকে উপার্জন করতে না পারার ফলেই কি আর্থিক জালিয়াতির ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তিনি? সেই বিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি ‘গদর ২’ ছবির নায়িকা।