কৌশাম্বী চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
আর এক মাসও নেই। শহরের চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। ধর্মতলা, গড়িয়াহাট চত্ত্বরে পা রাখার জায়গা নেই। থিকথিক করছে ভিড়। পুজোর কেনাকাটা চালু হয়ে গিয়েছে। সবাই পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকলেও সিরিয়াল পাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিন্দুমাত্র সময় নেই। প্রতি দিন ১৪ ঘণ্টা শুটিং করতে হলে কি আর পুজোর কেনাকাটা করা সম্ভব। যদিও অনেকেই বলেন তাঁরা সারা বছর কিছু না কিছু কিনতে থাকেন। কিন্তু নিজের জন্য না কিনলেও কাছে মানুষদের উপহার তো দিতেই হবে। পরিবারের জন্য কিছু কিনতে যাওয়ার যে সময় হচ্ছে না সেই আক্ষেপই বলে ফেললেন অভিনেত্রী কৌশাম্বী চক্রবর্তী। ‘মিঠাই’ সিরিয়াল শেষ হওয়ার পরেই ‘ফুলকি’ সিরিয়ালে সই করেন। তাঁর চরিত্রের নাম পারমিতা। শুটিংয়ের চাপে পুজো নিয়ে ভাবার সময়টুকুও পাচ্ছেন না অভিনেত্রী। প্রত্যেক দিন শুটিং।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল পুজোর পরিকল্পনা। প্রশ্ন শুনে যেন আরও মন খারাপ হয়ে গেল কৌশাম্বীর। তিনি বললেন, “একটা দিন ছুটি চাইছি। কিন্তু ছুটি পাচ্ছি কই। এখন তো আমরা নিজেরা জামাকাপড় কিনি সারা বছরই। কিন্তু মা-বাবা, দাদাকে তো কিছু দিতে হবে। তার জন্য তো এক দিন দোকানে যেতে হবে। সেই সময়টাও পাচ্ছি না। কারণ, এখন আবার শুরু হয়ে যাবে পুজোর ব্যাঙ্কিং। তা হলে আর সময় কোথায়! মা যাচ্ছে দোকানে, সেখানে গিয়ে ভিডিয়ো কল করছে। আর বলছি যেটা ভাল লাগছে কিনে নাও। একটু তো মনখারাপ লাগছেই।” তবে পুজোর কেনাকাটায় যেমন আগ্রহ তাঁর। তেমনই আবার পুজোয় রাস্তায় ঘুরতে খুব একটা ভালবাসেন না কৌশাম্বী। তিনি বললেন, “আমি তো অনেক ছোট বয়স থেকে কাজ করছি। তাই কোনও দিনই পুজোর সময় লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখার আগ্রহ নেই আমার।”
পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে হয়তো এক দিন খাওয়াদাওয়া করতে যাবেন কৌশাম্বী। এই মুহূর্তে যদিও তাঁর দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটে যাচ্ছে স্টুডিয়োয়। সেই চার দিন সময় পেলে তাঁর পুরো সময়টাই তিনি দেবেন পরিবারকে।