জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে রাজ্যের মানুষকে। তার জেরে চলছে প্রতিবাদ। প্রায় প্রতি দিন রাজনৈতিক পতাকা সরিয়ে রেখে মিছিল হচ্ছে মিছিল-নগরীতে। হাঁটছেন সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ। তবে নাগরিক প্রতিবাদের ক্ষেত্রে মৌনমিছিল বা মোমবাতি মিছিলে খুব একটা ভরসা রাখতে পারছেন না অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তা হলে কী ভাবে প্রতিবাদ করতে চাইছেন তিনি?
রবিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন জয়জিৎ। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “আমি মোমবাতিতে বিশ্বাসী নই, আমি মোমবাতির আগুনে বিশ্বাসী।” প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলে টলিপাড়ার শিল্পীদের তরফে টালিগঞ্জে একটি অবস্থানের আয়োজন করা হয়েছে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সেখানে মোমবাতি প্রজ্বলনের আহ্বান করা হয়েছে। নেটাগরিকের একাংশের ধারণা, জয়জিৎ আর্টিস্ট ফোরামের উদ্যোগকেই কটাক্ষ করেছেন। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জয়জিৎ বললেন, “কখনওই নয়। কারণ আমি নিজে আর্টিস্ট ফোরামের অবস্থানে উপস্থিত থাকব।”
জয়জিতের মতে, মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল করে খুব একটা লাভ হবে না। কারণ তিনি মনে করছেন, এই পরস্থিতিতে মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর প্রয়োজন। অভিনেতা বললেন, “যে ঘৃণ্য অপরাধ হয়েছে, যে ভাবে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, সেখানে স্লোগান-সহ চিৎকার না করলে রাগ কমবে না।” সম্প্রতি, শিল্পীদের একটি মিছিলে ব্যাটারিচালিত মোমবাতি নিয়ে হাঁটা নিয়ে সমাজমাধ্যমে ট্রোলিং শুরু হয়। জয়জিৎ বললেন, “এগুলো হাস্যকর বিষয়। এক জন সেনা যুদ্ধে যেমন চিৎকার করতে করতে গুলি চালান, সেই শক্তি নিয়ে মিছিল করতে হবে, যাতে সমাজের সর্ব স্তরে স্লোগানের আওয়াজ পৌঁছে যায়।”
রবিবার বিকালে টলিপাড়ার ছোট পর্দার শিল্পীদের তরফে একটি মিছিলের আহ্বান করা হয়েছে। ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়ো থেকে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত মিছিল করে যাবেন শিল্পীরা। সেই মিছিলেও হাঁটবেন বলে জানালেন জয়জিৎ।