বাপ্পির বিভিন্ন মজাদার গল্পের মাঝেও মনে পড়ে যায়, বলি তারকা, প্রয়াত অভিনেতা রাজ কুমার এক বার বাপ্পির আদবকায়দার জন্য তাঁকে অপমান করার চেষ্টা করেছিলেন বাপ্পিকে। কিন্তু তাঁর কথা শুনে নিজেকে এক বিন্দুও পাল্টাননি প্রয়াত সুরকার। কারণ তিনি নিজের উপর ভরসা রাখতেন। তিনি ব্যতিক্রমী।
বাপ্পি লাহিড়ি এবং রাজ কুমার
তাঁর সোনা-প্রীতি নিয়ে চর্চা সর্বত্র। কারও চোখে তাঁর আদবকায়দা প্রশংসনীয়। কারও কাছে আবার ঠাট্টার বিষয়বস্তু। কিন্তু এই সব চর্চা নিজেকে কোনও দিন বদলে ফেলার চেষ্ট করেননি বাপ্পি লাহিড়ি। মঙ্গলবার তাঁর প্রয়ানে শোকস্তব্ধ সব দলের মানুষই। মনে পড়ছে তাঁদের প্রিয় ‘বাপ্পিদা’র নানা মজাদার গল্প।
বাপ্পির বিভিন্ন মজাদার গল্পের মাঝেও মনে পড়ে যায়, বলি তারকা, প্রয়াত অভিনেতা রাজ কুমার এক বার তাঁর আদবকায়দার জন্য অপমান করার চেষ্টা করেছিলেন বাপ্পিকে। কিন্তু তাঁর কথা শুনে নিজেকে এক বিন্দুও পাল্টাননি প্রয়াত সুরকার। কারণ তিনি নিজের উপর ভরসা রাখতেন। তিনি ব্যতিক্রমী।
একটি অনুষ্ঠানে রাজের সঙ্গে দেখা হয় বাপ্পির। সুরকারের গলায় ভারি ভারি সোনার গয়না দেখে হেসে ওঠেন রাজ। বলেন, ‘‘শুধু মঙ্গলসূত্রের অভাব রয়ে গেল দেখছি।’’ বিয়ের চিহ্ন হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মহিলারা নিজের গলায় মঙ্গলসূত্র পরেন।
কিন্তু সোনাকে ঈশ্বর মানতেন বাপ্পি। সোনায় তাঁর প্রাণ। সোনা তাঁর কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই এ সব সমালোচনা তাঁকে প্রভাব করত না।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে মুম্বইয়ের জুহুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গত বছর এপ্রিল মাসে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। সেই সময় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ)’-তে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।