অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু
বাংলাদেশের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে চলচ্চিত্র জগৎ উত্তাল। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাঁর স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত কথা জানাতে অতি দ্রুত সাংবাদিক সম্মেলন করবেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার।
কেরানীগঞ্জের ওসি মো. আবু সালাম মিয়া বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিমুর বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর স্বামী ও গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বর্তমানে অভিনেত্রীর মরদেহ রাখা আছে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে শিমুর স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদ গেলে তাঁদের আটক করে র্যাব।
অভিনেত্রী শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন আগেই অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ভগ্নিপতি নোবেল মাদকাসক্ত এবং প্রায়ই শিমুকে মারধর করতেন।
আরেকটি গুঞ্জনও তৈরি হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নাকি বাংলাদেশের চিত্রতারকা জায়েদ খানের সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন শিল্পী সমিতির নির্বাচন আসন্ন। গতবারের বিজয়ী মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানদের বিরুদ্ধে এ বার নামকরা অনেকেই একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শিমু জায়েদ খানের সঙ্গে থাকলেও এ বার তাঁকে বাদ দেওয়ায় নাকি ক্ষুব্ধ ছিলেন। এমনকী জায়েদ খানের সঙ্গে নাকি কয়েকদিন আগে বচসায়ও জড়িয়েছিলেন। এই কারণে অনেকে শিমু হত্যাকাণ্ড বিষয়ে আঙুল তুলেছেন এই চিত্রনায়কের দিকে।
জায়েদ খানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা না গেলেও বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তাঁর বক্তব্য, ‘‘শিমুর হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমি। বলা হচ্ছে, বারোদিন আগে শিমুর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। অথচ গত দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই।’’ জায়েদ খানের দাবি, শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সব নোংরামি চলছে আর অপপ্রচার হচ্ছে। এই অপপ্রচার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কীর্তি।
তদন্ত চলছে। অভিনেত্রী শিমুর শোকার্ত গুণমুগ্ধরা চাইছেন দ্রুত উন্মোচিত হোক রহস্য।