ইন্দ্রাণী চরিত্রে অভিনয়ের প্রতিটা মহূর্ত দারুণ উপভোগ করছেন অঙ্কিতা। ছবি: সংগৃহীত।
বারো বছরের মেয়ের মা ইন্দ্রাণী। মেয়ের জন্মের পর থেকে একা হাতেই তাকে মানুষ করেছেন। শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে সংসার একা হাতেই এত দিন সামলে এসেছেন তিনি। ইন্দ্রাণীর জীবনে এসেছে আদিত্য পুরকায়স্থ। এমনই এক প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে কালার্স বাংলার সিরিয়াল ‘ইন্দ্রাণী’। মুখ্য চরিত্রে অঙ্কিতা চক্রবর্তী। আর আদিত্যর চরিত্রে দর্শক দেখছেন রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়কে। আদিত্যর সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন ইন্দ্রাণী।
মায়ের বিয়ে নিয়ে উত্তেজিত তাঁর বারো বছরের মেয়েও। তাই আনন্দে ভিডিয়ো তৈরি করছে সে। প্রকাশ্যে এসেছে সিরিয়ালের নতুন প্রোমো। বাবা অথবা মায়ের বিয়ে দিচ্ছে সন্তান, এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তাই প্রোমো নিয়ে সিরিয়াল প্রেমীদের মনেও কৌতূহল দানা বেঁধেছে।
ইদানীং বাংলা সিরিয়ালে দর্শক একঘেয়ে গল্প পর্দায় দেখতে দেখতে ক্লান্ত। সেখানে ‘ইন্দ্রাণী’র গল্প যেন তাঁদের কাছে টাটকা বাতাসের মতো। মাঝেমধ্যেই দর্শকের একাংশের অভিযোগ থাকে, বাংলা সিরিয়াল মানেই নাকি বস্তা পচা গল্প। আর তা না হলে নায়কের দ্বিতীয় বিয়ে। তবে ‘ইন্দ্রাণী’র নতুন প্রোমো প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকের তরফে আসছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া। এ প্রসঙ্গেই আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় অঙ্কিতার সঙ্গে।
অঙ্কিতা বলেন, “সিরিয়াল মানেই তো শুধু বস্তাপচা গল্প নয়। নতুন ধরনের কননেন্ট এলে তবে তো দর্শকের ভাল লাগবে। আমাদের উপর টিআরপির চাপ থাকে ঠিকই। কিন্তু চ্যানেল একটা শো এমন তৈরি করতেই পারে যেটা হয়তো যা চ্যানেলকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’’
ইন্দ্রাণী চরিত্রে অভিনয়ের প্রতিটা মহূর্ত দারুণ উপভোগ করছেন অঙ্কিতা। বললেন, ‘‘অভিনয় করতে গিয়ে নিজেকে অনেকটাই সমৃদ্ধ মনে হয়। আমার বলা প্রতিটা সংলাপ মনের ভেতর থেকে উঠে এসেছে। যদিও তাতে সমাজ বদলাবে কি না জানি না। তবে সমাজে যদি কোনও ইতিবাচক বার্তা পৌঁছয় তা হলে তো মন্দ হয় না তাই না!”