(বাঁ দিকে) সুশান্ত সিংহ রাজপুত। অঙ্কিতা লোখন্ডে (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২০২০ সালের জুন মাস। ১৪ জুন অতিমারি ও লকডাউনের আবহে এসেছিল সেই দুঃসংবাদ। প্রয়াত হয়েছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল বলিউড অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ। সুশান্তের মৃত্যুতে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। বাদ যায়নি বলিপাড়াও। তার চেয়েও বেশি করে উঠে এসেছিল একাধিক প্রশ্ন। কী ভাবে মৃত্যু হল ‘কাই পো চে’ খ্যাত অভিনেতার? আত্মহত্যা না অন্য কোনও কারণ, সুশান্তের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা কাটেনি তিন বছর পরেও। এ দিকে ‘বিগ বস্’-এর ঘরে সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা ও টেলিভিশন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখন্ডের দাবি, তিনি নাকি জানেন কী কারণে ম়ৃত্যু হয়েছে সুশান্তের।
সম্প্রতি ‘বিগ বস্ ১৭’-এর অন্যতম প্রতিযোগী মুনাওয়ার ফারুকির সঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় অঙ্কিতাকে। সুশান্তের সঙ্গে প্রেম ও তার পরে বিচ্ছেদ— সব নিয়েই খোলামেলা ভাবে কথা বলেন অঙ্কিতা। অঙ্কিতা জানান, সুশান্তের মৃত্যুর খবর জানার পরেও তিনি নাকি তা বিশ্বাস করতে পারেননি। এমনকি, প্রাক্তন প্রেমিককে সাদা কাপড় জড়ানো অবস্থায় দেখতে পারবেন না বলে সুশান্তের শেষকৃত্যেও যাননি অঙ্কিতা। মুনাওয়ার অঙ্কিতাকে প্রশ্ন করেন, সুশান্তের মৃত্যুর নেপথ্যের কারণ তিনি জানেন কি না। অঙ্কিতা বলেন, ‘‘সুশান্ত ভীষণ ভাল মানুষ ছিল। আমার এখনও অদ্ভুত লাগে যখন আমি বলি, ‘ছিল’। তিন বছর পরে এখন তবু একটু ধাতস্থ হয়েছি। আগে তো এমন কথা বলতেই অস্বস্তি হত আমার। আর আমি জানি কেন ওই ঘটনা ঘটেছিল। আমি তখন বলেওছিলাম সবাইকে। কেউ তখন আমার কথা বিশ্বাস করেনি।’’ যদিও এর থেকে বেশি কিছু খোলসা করে বলেননি অঙ্কিতা।
এ দিকে ‘বিগ বস্ ১৭’-র আসার পর থেকে স্বামী ভিকি জৈনের সঙ্গে একের পর এক অশান্তিতে জড়িয়েছেন অঙ্কিতা। ভিকির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব যত বাড়ছে, প্রয়াত প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে নিয়ে আরও বেশি করে কথা বলছেন অঙ্কিতা। তাঁদের প্রেম থেকে শুরু করে বিচ্ছেদ— সব নিয়েই অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছেন তিনি। এমনকি, সুশান্তের কথা বলতে গিয়ে একাধিক বার চোখে জলও এসে গিয়েছে তাঁর। তবে অঙ্কিতার চোখের জল দেখে তাঁর প্রতি সমবেদনা জানাতে নারাজ নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের দাবি, স্রেফ নিজের আখের গোছাতে সুশান্তের নাম ব্যবহার করছেন অঙ্কিতা। সবার সমবেদনা আদায় করেই নাকি খেলায় এগিয়ে যাওয়ার ধান্দা তাঁর।