(বাঁ দিকে) ‘গদর ২’-এর পরিচালক অনিল শর্মা। অমিশা পটেল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের এই মুহূর্তের অন্যতম চর্চিত অভিনেত্রী অমিশা পটেল। সৌজন্যে, ‘গদর ২’ ছবির বেনজির সাফল্য। ২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল অনিল শর্মা পরিচালিত ছবি ‘গদর’। ২২ বছর পরে গত ১১ অগস্ট মুক্তি পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির দ্বিতীয় ছবি। বক্স অফিস ব্যবসার নিরিখে চলতি বছরে বলিউডের সব থেকে সফল ছবির তালিকায় ‘পাঠান’-এর পরেই রয়েছে ‘গদর ২’। মুক্তির পরে প্রথম সপ্তাহান্তেই বক্স অফিসে ১০০ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল অনিল শর্মা পরিচালিত ‘গদর ২’। মাস ঘুরে সেই ব্যবসার অঙ্ক ৫০০ কোটি ছুঁইছুঁই। ছবির সাফল্যের পরে বলিউডে নিজের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অমিশা। তবে ‘গদর ৩’ ছবির প্রস্তাব পেলে নিজের শর্তে কাজ করতে চান তিনি, এ কথাও খোলসা করে দিয়েছেন অমিশা। অমিশার দাবি, ‘গদর ২’ ছবিতে তারা সিংহ ও শাকিনাকে তুলনামূলক ভাবে কম সময়ের জন্য দেখতে পেয়েছেন দর্শক। ‘গদর ৩’-এও তাঁদের স্ক্রিনটাইম এতটাই কম হলে, ছবিতে কাজ করতে রাজি নন তিনি।
অমিশার এই দাবির কথা কানে যেতেই নায়িকার উদ্দেশে তির্যক মন্তব্য অনিলের। পরিচালক বলেন, ‘‘অমিশা ছবির শুটিং চলাকালীনও অনেক কিছু বলেছেন। আমি তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আমি অভিনেত্রী হিসাবে ওঁকে শ্রদ্ধা করি, পরেও করব। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, শাকিনা আমার কল্পনার ফসল, ওঁর নয়। আমার ভাল লেগেছে যে উনি এই চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করতে পেরেছেন।’’
অনিলের এই মন্তব্যের উত্তরেই রীতিমতো ফুঁসে উঠেছেন অমিশা। পরিচালকের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে অমিশা বলেন, ‘‘আমার আর অনিলের সম্পর্ক কখনওই মধুর ছিল না। ‘গদর’-এর সময়েও নয়, ‘গদর ২’-এর সময়েও নয়। তবে উনি আমার পরিবারের মতো। পরিবারের সব সদস্যদের সঙ্গে আমাদের চিন্তাভাবনা সব সময় নাও মিলতে পারে। তবে আমি কিছু তথ্য দিতে চাই... শাকিনার চরিত্র অনিল লেখেননি, শক্তিমান তলোয়ার লিখেছিলেন। আমাকে ওই চরিত্রের জন্য বেছেছিল জ়ি, অনিল নন। এমনকি, অনিলের তো আমার থেকে বেশি মমতা কুলকর্ণিকে পছন্দ হয়েছিল। সানির বদলে উনি গোবিন্দকে ছবিতে নিতে চেয়েছিলেন। আমার এবং ওঁর যে মতের মিল হয় না, তা নতুন নয়।’’ এখানেই থামেননি অমিশা। তিনি আরও বলেন, ‘‘বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে আমি যে টুইট করেছিলাম, সেগুলো উনি আমাকে অনুরোধ করিয়ে ডিলিট করিয়েছিলেন। আমার কাছে চ্যাট আছে, আমি প্রমাণ দিতে পারি ওঁর সুবিধার্থে। শুধু তাই-ই নয়, সেটে উনি যে দুর্ব্যবহার করেছেন ও যে ভাবে ছবির প্রযোজনা সামলেছেন, তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। এমনকি, দরকারে আমি জ়ি-এর টিমের সঙ্গে হওয়া চ্যাটও প্রমাণ হিসাবে দেখাতে পারি।’’ অমিশার কথা থেকেই স্পষ্ট, অনিল তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করলে তিনিও ছেড়ে কথা বলবেন না। নিজের ছেলে উৎকর্ষকে বিনোদন দুনিয়ায় জায়গা করে দেওয়া নিয়েও অনিলকে একহাত নিয়েছেন অমিশা। অমিশার কথায়, ‘‘অনিল শর্মা উৎকর্ষকে ‘গদর ২’-এর মাধ্যমে লাইমলাইটে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। সেই চেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি। উৎকর্ষ এমনিতে খারাপ ছেলে নন। তবে চিরকাল তো কেউই স্রেফ নিজের বাবার সঙ্গেই কাজ করে যেতে পারেন না!’’