(বাঁ দিকে) রণবীর কপূর। আলিয়া ভট্ট (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
২০২২ সালের এপ্রিলে গাঁটছড়া বাঁধার পর নভেম্বরে কন্যাসন্তানের মা-বাবা হয়েছেন আলিয়া ভট্ট ও রণবীর কপূর। সন্তান জন্মের পর বিরতি নেননি। বরং কাজ দ্বিগুণ বেড়েছে আলিয়ার।
সম্প্রতি মেটা গালায় আলিয়ার সাজ নজর কেড়েছে সকলের। গত বছর হলিউডের ছবিতে অভিষেকও হয়েছে তাঁর। কর্মজীবনে একের পর এক সাফল্য পেয়েছেন আলিয়া। আলিয়া যে বিশ্বমানের অভিনেত্রী, তা ভাল ভাবেই জানেন রণবীর। তাই পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবে আলিয়াকে আরও এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেন। তবে সে ‘অভিনেত্রী’ কিংবা ‘রণবীরের স্ত্রী’ নয়, বরং যে ভূমিকায় নিজেকে সবার প্রথমে রাখতে চান, সেটাই সম্প্রতি জানালেন আলিয়া।
বয়স সবে দেড় বছর। মেয়ে রাহাকে চোখে হারান রণবীর-আলিয়া। তাকে এক মুহূর্তের জন্যেও কাছছাড়া করতে চান না তাঁরা। নিজের ছবির প্রচার হোক কিংবা বিদেশ ভ্রমণ অথবা অম্বানীদের পার্টি, সর্ব ক্ষণ বাবার কোলে একরত্তি রাহা। তাই রণবীরের স্ত্রী নয়, বরং তিনি সবার আগে রাহার মা। মেয়েই অগ্রাধিকার পায় তাঁর জীবনে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন আলিয়া।
পাশপাশি স্বামীকে নিয়ে অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনেন তিনি। আলিয়ার কথায়, ‘‘আসলে আমরা দু’জনে আলাদা মানুষ। সাফল্য ও ব্যর্থতা, দু’টি গ্রহণ করার পদ্ধতিও আমাদের আলাদা-আলাদা। আমি বেশি ভাবি। ব্যর্থতা পেলে সেটা নিয়ে চিন্তা করি। কিন্তু রণবীর দুই ক্ষেত্রেই সবটা পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারে।’’
মেয়ের জন্মের পর স্বামী-স্ত্রী একটি বিষয়ে এককাট্টা। আলিয়া বলেন, ‘‘মেয়ের জন্মের পরই আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসি যে, মেয়েকে একা ছাড়ব না কখনও। রাহাকে কখনও আমি দেখব, কখনও রণবীর। যার যখন কাজ থাকবে, অন্য জন ছুটি নিয়ে আমরা সন্তানের কাছে থাকব। এ ভাবেই পরিকল্পনা করে রেখেছি। আমিও তো ভাল মা হতে চাই! তবে রাহার জন্মের পর থেকে সারা ক্ষণ দুশ্চিন্তা হয়। যা-ই করি, মনে হয়, আমার সন্তানের এতে ভাল হবে তো! শেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, ওকে আমরা আমাদের সেরাটা দেব। বাকিটা ঈশ্বরের উপর।’’