মায়ের ছবির সেটে মুগ্ধ আরাধ্যা
জীবনে কখনও প্রথাগত ভাবে অভিনয়ের তালিম নেননি। ৪৮ বছর বয়সে এসে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন যেন আরও এক বার কাজ শিখলেন পরিচালক মণি রত্নমের কাছে। তিনি ‘গুরু’, যেন এক ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’, জানালেন অভিনেত্রী। দক্ষিণী ছবি ‘পোন্নিয়িন সেলভান ১’-এর সেটে এত কিছু ঘটেছে যে ভাগ না করে পারলেন না তিনি। শ্যুটিং দেখতে এসেছিল কন্যা আরাধ্যাও।
শনিবার ছবির প্রচার অনুষ্ঠানে এসে ঐশ্বর্যা বললেন, “আরাধ্যা যেন রূপকথার জগতে চলে এসেছে! ওর এতটাই ভাল লেগেছে যে, মুগ্ধ হয়ে শ্যুটিং দেখছিল। যদিও পুরো ছবিটা ও এখনও দেখেনি। সহকর্মীদের অনেকেরই বাচ্চা রয়েছে। এ ধরনের রাজা-রানির গল্প, ঐতিহাসিক ছবি দেখতে বাচ্চারা খুব ভালবাসে। বাচ্চারা একে একে এসে দেখে গিয়েছে সেট। আরাধ্যাও বায়না ধরেছিল। আসার পর ওর চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম মুগ্ধতা, উচ্ছ্বাস।”
সেই সঙ্গে রত্নমও আপন করে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্যার ছোট্ট মেয়েকে। তার মা যখন টেক দিতে যাবেন, আরাধ্যাকেই ‘অ্যাকশন’ বলতে বললেন এক দিন। সেই মুহূর্তটি ঐশ্বর্যার কাছেও অমূল্য স্মৃতি হিসাবে রয়ে যাবে।
১৯৫৫ সাল, প্রখ্যাত তামিল সাহিত্যিক 'কল্কি' কৃষ্ণমূর্তির উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি ‘পোন্নিয়িন সেলভান’। দক্ষিণ ভারতের ইতিহাসের গৌরবময় চোল সাম্রাজ্যের উপর আধারিত চিত্রনাট্যে রানি ‘নন্দিনী’-র চরিত্রে ঐশ্বর্যা। পাজহুভুত্তারিয়ারের রাজ্ঞী তিনি। তবে, একটি নয়, দু’টি চরিত্রে অভিনয় করছেন ঐশ্বর্যা। ‘নন্দিনী’ ছাড়াও ‘মন্দাকিনী’ নামের আর একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
১৯৯৭ সালে রত্নমের পরিচালিত তামিল ছবি ‘ইরুভার’ দিয়েই অভিনয়ে পা রেখেছিলেন মডেল-তারকা ঐশ্বর্যা। তার পর ‘গুরু’, ‘রাবণ’-এর মতো ছবিও তাঁর সঙ্গে। শুরু থেকে রত্নমকেই গুরু বলে মানেন অভিনেত্রী।
মাসখানেক আগে ‘পোন্নিয়িন সেলভান’-এর পোস্টার শেয়ার করে প্রযোজক সংস্থা লাইকা প্রোডাকশন লিখেছিল, ‘প্রতিশোধেরও একটি সুন্দর মুখ আছে! পাজহুভুত্তারিয়ারের রানি নন্দিনীকে দেখুন!’
ইতিহাস-আশ্রিত ছবিটির প্রথম পর্ব মুক্তি পাবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। তামিল, হিন্দি, তেলুগু, মালয়ালম এবং কন্নড় ভাষায় দেখা যাবে ছবিটি।