Aindrila Sharma

Aindrila-Sabyasachi: ঐন্দ্রিলার পুজো শুরু! মাঝরাতে সব্যসাচীর হাত ধরে মণ্ডপে দেবীদর্শন

‘বামদেব’ জানিয়েছেন, নামী পুজো হতাশ করেছে ঐন্দ্রিলাকে। অনামী পুজোর দেবী প্রতিমাতেই খুশি তিনি!

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ১২:১৫
সব্যসাচীর সঙ্গেই পুজো কাটবে ঐন্দ্রিলার।

সব্যসাচীর সঙ্গেই পুজো কাটবে ঐন্দ্রিলার।

ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে লড়তে গোটা একটা বছর পার। তবু ঐন্দ্রিলা শর্মাকে ঠেকায় কে! বায়না মেটাতে চতুর্থীতেই প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর হাত ধরে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন। শরীর ঠিক থাকলে সবেতেই আছেন তিনি। সেটা পোষ্যদের দেখভাল হোক বা প্রতিমা দর্শন। নিজের পুজো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ধারাবাহিক ‘জিয়ন কাঠি’র নায়িকা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, ‘‘শরীর ঠিক থাকলে কাছেপিঠের ঠাকুর দেখব। বায়না করে রেখেছি সব্যসাচীর (ছোট পর্দার বামদেব) কাছে।’’ সেই অনুযায়ীই শনিবার মাঝরাতে যুগলে মিলে দেবীদর্শন সারলেন। প্রেমিকের সঙ্গে বোনের খুশি ক্যামেরায় ধরে রেখেছেন ঐন্দ্রিলার দিদি। সেই ছবি ফেসবুকে দিয়ে সব্যসাচী চৌধুরী ওরফে ছোট পর্দার ‘বামদেব’ জানিয়েছেন, নামী পুজো হতাশ করেছে ঐন্দ্রিলাকে। অনামী পুজোর দেবী প্রতিমাতেই খুশি তিনি!

ঠাকুর দেখা প্রসঙ্গে একটি ছোট বার্তাও দিয়েছেন সব্যসাচী। লিখেছেন, ‘বায়না করেছিল, পুজোর ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে আমায় ঠাকুর দেখাতেই হবে। ঐন্দ্রিলার শরীর একটু ভাল থাকাতে, ভয়ে ভয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম দক্ষিণ কলকাতার দুই নামকরা পুজো মণ্ডপে'। কিন্তু সব দেখে একটুও মন ভরেনি সব্যসাচীর প্রেমিকার। এক দিকে অজস্র মানুষের মিছিল। অন্য দিকে, অতিমারির নিয়ম মেনে ব্যারিকেড আর ‘নো পার্কিং’ এর স্রোত। ঘেমেনেয়ে ক্লান্ত তিনি। বিরক্তিতে বলে উঠেছেন, “ধুর, বাড়ি নিয়ে চল। ঠাকুরকেই তো দেখতে পাচ্ছি না!”

Advertisement

ফেরার পথে এক অচেনা পাড়ার মোড়ে একটি ছোট্ট প্যান্ডেল। দেখে একেবারে সামনে গিয়ে দাঁড়ান ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচী। অনাড়ম্বর আয়োজনে কোনও বেড়াজাল নেই। মাঝরাতে, মানুষ তো দূরের কথা, কাকপক্ষীও নেই। সব্যসাচীর কথায়, এই বিগ্রহের কোনও থিম নেই। চাকচিক্য নেই। তাই জাঁকজমকও নেই। বড়ই সাদামাটা, আটপৌরে ডাকের সাজের দেবী মা ঠিক যেন নিজের মায়ের মতো। এই প্রতিমা মন ভরিয়ে দিয়েছে ঐন্দ্রিলার। তার প্রমাণ, ছবিতে ফুটে ওঠা তাঁর মুখের হাসিতে। প্রেমিককে নিবিড় আলিঙ্গনে বাঁধার মধ্যে।

আরও পড়ুন
Advertisement