শোকপ্রকাশ জয়ার। ফাইল চিত্র।
মোটে ২৪টা বসন্ত পার করেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। কতটুকুই বা দেখেছিলেন জীবনকে! ক্যানসারের সঙ্গে অসম ল়ড়াই রুদ্ধ করল ঐন্দ্রিলার চলার পথ। তবে ঐন্দ্রিলা হারেননি, বরং তিনি জয়ী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুর্নিশ জানিয়েছেন ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলাকে। কিন্তু ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল তাঁর পরিজনেরা। অভিনেত্রীর এমন অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা টলিউডে। যাঁরা তাকে চেনেন কিংবা যাঁরা ঐন্দ্রিলাকে চেনেন না, সকলেই যেন এই শোকে সামিল। এ বার ঐন্দ্রিলার জন্য আবেগতাড়িত পোস্ট দিলেন জয়া আহসান।
বাংলাদেশ ও কলকাতা দুই দিকের ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জয়ার গভীর যোগ। মূলত সিনেমার সঙ্গে জড়িত মানুষদের সঙ্গে পরিচিত অভিনেত্রী। কিন্তু ঐন্দ্রিলাকে না চিনেও তাঁকে কাছের মনে করে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জয়া লেখেন, ‘‘ঐন্দ্রিলাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না, কিন্তু কিছু মানুষ থাকেন যাঁদের দেখলে জীবন ঝকমকিয়ে ওঠে। সমাজমাধ্যমে সে ভাবেই ঐন্দ্রিলা বার বার ধরা দিয়েছে আমার কাছে। সব সময় মুখে উজ্জ্বল হাসি, জীবনশক্তিতে দৃপ্ত চোখ। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আদর করে বেঁচে নিচ্ছিল মেয়েটা, সঙ্গে বাঁচার আসল মর্মটুকু শেখাচ্ছিল আমাদের প্রতিনিয়ত। কী হবে জীবন, যদি তা এমন অন্ধকার দিনে ব্যথিয়ে না ওঠে... আজ ওর শেষ যাত্রায় যে অসীম অনুপ্রেরণা রেখে গেল ঐন্দ্রিলা, তাতেই শান্তি আসুক... এমন অনুপ্রেরণা ভেন্টিলেশনের হাজার সুচকে বার বার বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জিতে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। সেই অসীম ক্ষমতায় ঐন্দ্রিলা আজ জয়ী... মৃত্যু, শোক, ওকে ছুঁয়ে নতুন অর্থ পেল। ভাল থেকো লড়াকু মেয়ে, মনের মাঝে জীবন চেতনা হয়ে অমর থেকো আজীবন।’’
গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হয় ঐন্দ্রিলার। অভিনেত্রীকে ভর্তি করানো হয় হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সকলেরই আশা ছিল, এ বারও লড়ে ফিরবেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু এ বার আর সেই আশাপূরণ হল না তাঁর অনুরাগীদের।