জীতু-নবনীতা। ছবি: সংগৃহীত।
২৮ অগস্ট ছিল অভিনেতা জীতু কমলের জন্মদিন। এ দিনই ছড়িয়ে পড়ে, তাঁর স্ত্রী নবনীতা দাসের একটি ছবি। পুলসাইডে একটি হোটেলের বারান্দায় পোজ় দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নায়িকা। ওই একই বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন স্নেহাল অধিকারী নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি নাকি এই মুহূর্তে নবনীতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। দু’জনের ছবি আলাদা হলেও বারান্দা দেখে মিল খুঁজে পান অনেকেই। শোনা যায়, জীতুর জন্মদিনে বিশেষ বন্ধু স্নেহালের সঙ্গে গোয়ায় সময় কাটাচ্ছেন নবনীতা। এই মুহূর্তে নায়িকা ব্যস্ত ‘বিয়ের ফুল’ সিরিয়ালের শুটিং নিয়ে। অর্থাৎ, শুটিং থেকে ছুটি নিয়ে নাকি তিনি ঘুরতে গিয়েছেন। সত্য কী?
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় নবনীতার সঙ্গে। একটা দিনই শুটিং থেকে ছুটি পেয়েছেন তিনি। তাই বাড়ির কাজে ব্যস্ত। শুটিংয়ের জন্য পুরীতে জগন্নাথদেবের মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না। নবনীতা বলেন, “আমি তো শুটিং করছিলাম। এ সব আবার কখন রটল! রাজা (গোস্বামী) নতুন গাড়ি কিনেছে। আমাদের তাই খাওয়াল। স্নেহাল আমার নতুন বন্ধু। কয়েক মাস হল আলাপ হয়েছে। তার সঙ্গে তো এমন কোনও কথা রটা উচিত নয়। পরশু অর্থাৎ রবিবার রাত ১২টার সময় জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানিয়েছি। এগুলো যে কেন রটে, আমি সত্যিই মাঝেমাঝে বুঝতে পারি না।”
ফেব্রুয়ারি মাসে জীতুর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের আবেদন করেন নায়িকা। তার পর আদালত থেকে ছ’মাসের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এই অগস্টেই ছ’মাস পূর্ণ হবে। তার পরই আসবে তাঁদের বিচ্ছেদের শংসাপত্র। জীতুর বাড়ি ছেড়ে নিজের বাইপাসের বাড়িতে আছেন নবনীতা। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে প্রথম জানিয়েছিলেন নায়িকা। তবে এ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতেই নারাজ নায়ক। কিছু দিন আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে নায়ক জানিয়েছিলেন, তিনি নবনীতা সম্পর্কে কোনও নিন্দা শুনবেনও না আর কোনও নিন্দা করবেনও না।