(বাঁ দিকে) ‘হাওয়া’ ছবির পোস্টার। ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির পোস্টার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ইদে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর প্রথম ছবি ‘সুড়ঙ্গ’। তিনি জনপ্রিয় মূলত সেখানকার নাটকের কারণে। তবে পশ্চিমবঙ্গে তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় ‘কাইজ়ার’ সিরিজ়ের পর থেকে। এ বার রায়হান রাফী পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির মাধ্যমেই বড় পর্দায় অভিষেক হল নিশোর। মুক্তির পর থেকে দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছে ছবিটি। সবে পাঁচ দিন হয়েছে মুক্তি পেয়েছে ‘সুড়ঙ্গ’। এর মধ্যেই সে দেশে হলের সংখ্যা বাড়ানো হল নিশোর ছবির। চলছে অগ্রিম বুকিং। হল মালিকদের কথা অনুযায়ী, ব্লকবাস্টারের দিকে এগোচ্ছে এই ছবি। এমন উন্মাদনা কোনও ছবিকে ঘিরে বাংলাদেশে বিরল, জানাচ্ছেন ছবির অন্যতম প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। বাংলাদেশে এমন প্রতিক্রিয়ার পর এ বার কলকাতায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘সুড়ঙ্গ’। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের ‘হাওয়া’ ছবিটি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়। নজিরবিহীন সাড়া পায় সেই ছবি। তা হলে কি ‘হওয়া’র জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই এ বার ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পেতে চলেছে এ পার বাংলায়? বাংলাদেশে থেকে আনন্দবাজার অনলাইনকে এ বিষয়ে কথা বললেন ছবির অন্যতম প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল।
‘সুড়ঙ্গ’ ছবিটির ড্রিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব নিয়েছে এসভিএফ। ইতিমধ্যেই সেন্সরের জন্য পাঠানো হয়েছে ছবিটিকে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, আগামী ২২ জুলাই কলকাতায় মুক্তি পাবে ‘সুড়ঙ্গ’। তবে সত্যি কি এ মাসে কলকাতায় দেখা যাবে নিশোর ‘সুড়ঙ্গ’? ‘হওয়া’-র সাফল্যে দেখেই কি এপার বাংলায় ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সিদ্ধান্ত নিলেন ছবির প্রযোজকরা? শাহরিয়ার কথায়, ‘‘নাহ্, অন্য কোনও ছবির সাফল্য দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমাদের মনে হয়েছে, এই ছবির গল্পে জোর রয়েছে যা পশ্চিমবঙ্গের দর্শক পছন্দ করবেন। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমাদের কনটেন্টটা এমনই, যা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের বাঙালির জন্য তৈরি করেছি। আমার মনে হয় সুড়ঙ্গ-এর গল্পে একটা মনস্তাত্ত্বিক দিক রয়েছে যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখতে চায়।’’
টিকিটের চাহিদা কেমন?
প্রযোজকের দাবি, মুক্তির সময় সে দেশের নাকি ৭টি সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি পঞ্চম দিনের আগেই বাড়িয়ে ৩৪টি করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘হল মালিকদের তরফে যা সাড়া পাচ্ছি, তাতে এই ছবি ব্লকবাস্টার হতে চলেছে। এখন অবস্থা এমন যে, ছবি দেখতে চাইলে টিকিট ৩ দিন আগে কাটতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে বোঝাই যাচ্ছে দর্শকদের চাহিদা।’’
কিন্তু বাংলাদেশের ছবি এ দেশে মুক্তি পেতে গেলে বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। যেমন দিন কয়েক আগে ‘পাঠান’ মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশে। সে ক্ষেত্রে সাফটা চুক্তির মাধ্যমে ছবিটি নিয়ে যাওয়া হয়। বিনিময়ে বাংলাদেশের ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবিটি মুক্তি পায় ভারতে। তা হলে কি ‘সুড়ঙ্গ’র ক্ষেত্রেও তেমন কিছু হতে চলেছে?
শাহরিয়ার বলেন, ‘‘ভারতের প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ থেকে সেন্সরে ‘সুড়ঙ্গ’ জমা দেওয়া হয়েছে। এটি কোনও ছবির বিনিময়ে যাচ্ছে না। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ভারত থেকে কোনও ছবি এ দেশে এনে দেখাতে হলে বিনিময়ে এ দেশের একটি ছবি সেখানে মুক্তি দিতে হবে।যে হেতু এসভিএফ ভারতের একটি কোম্পানি, তারা এ দেশ থেকে ছবিটি নিয়ে যাচ্ছে। তাই বিনিময়ের প্রয়োজন নেই।’’ তবে ২২ জুলাই তারিখটি চূড়ান্ত! সে প্রসঙ্গে এসভিএফের মুখপাত্র বলেন, ‘‘নাহ্, এখনই তারিখ বলা যাচ্ছে না। আগে ছাড়পত্র পাক। তবে খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে।’’ শাহরিয়ারও একই কথা বললেন। প্রাথমিক ভাবে ২২ জুলাই তারিখটি নির্বাচন করা হলেও ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে তারিখ ঘোষণা করতে পারছেন না তাঁরা।