রণজয় বিষ্ণু। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেতা হিসাবে তিনি পরিচিত। কিন্তু এ বার এক অন্য ভূমিকায় অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। মফস্সল থেকে পথচলা শুরু। আর এখন টলিপাড়ার অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা তিনি। জীবনের নানা ওঠাপড়া নিয়ে এ বার কলম ধরলেন রণজয়। হঠাৎ লেখালিখির ভাবনা কেন?
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে রণজয় বলছেন, ‘‘এই ভাবনা এসেছিল বেশ কিছু দিন আগেই। তবে আমি খুব ভাবনাচিন্তা করে যে লিখি, তা নয়। আমি তো লেখক নই। আমার কিছু মাথায় এলে, সেটা আমি লিখে ফেলি। মনে যা চলে, তা-ই লিখি। বহু মানুষ সে সব শুনে বলেছেন, আমার লেখায় তাঁরাও নিজেদের সঙ্গে মিল পাচ্ছেন। কিন্তু নিজের লেখাকে আমি ‘ভুলভাল’ লেখা বলি।’’
রণজয় জুটি বেঁধেছেন আর এক অভিনেতা নীল চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রণজয় তাঁর সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অভিনেতা নিজের লেখা পাঠ করছেন আর নীল গান গাইছেন। এই যুগলবন্দি নিয়ে রণজয় বলছেন, ‘‘বহু দিনের ইচ্ছে ছিল এক জন ভাল সঙ্গী পাব। যেমন, আমার আগে আর একটা ইচ্ছে ছিল, কেউ একটা গান গাইবে বা কবিতা পাঠ করবেন। আমি সেই ভাবনাটা নিয়ে ছবি আঁকব। কাল আমি কবিতা পাঠ করছিলাম আর নীল তাতে সুর দিয়ে গান গাওয়া শুরু করে। খুব ভাল লাগল বিষয়টা। ঠিক করেছি কোথাও এমন একটা অনুষ্ঠানও করব।’’
রণজয় বলছেন, ‘‘আমার একটা লাল খাতা আছে। যখন যেটা মনে হয়, সেখানে লিখি।’’ প্রশ্ন হল, কে অনুপ্রেরণা জাগাল এই লেখালেখির? অভিনেতা বললেন, ‘‘কেউ না। আমার জীবনবোধ থেকেই আমি লিখি। গত ৬-৭ বছর হল আমি লিখছি। আমার জীবনবোধ আমায় যে ভাবে শিক্ষা দিয়েছে আমি সে ভাবে লিখে চলেছি।’’
তাঁর কাদের লেখা পড়তে ভাল লাগে? রণজয় বলছেন, ‘‘অনেকের লেখাই। তাঁদের মধ্যে আছেন মহাদেব সাহা, হুমায়ুন আহমেদ, ভাস্কর চক্রবর্তী, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে।’’ তবে আগামী দিনেও লেখাকে পেশা করার কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই। রণজয় বলছেন, ‘‘এটা আমার পেশা নয়। লেখা আমার মনের বহিঃপ্রকাশ।’’
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে একটি চ্যানেলে, ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে ‘অনিকেত’ চরিত্রে অভিনয় করছেন রণজয়।