ধারাবাহিকে সোমু সরকারের বিপরীতে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সোমু সরকার জি বাংলার ‘নিমফুলের মধু’তে। ধারাবাহিকে তিনি নায়িকা পর্ণার মেয়ে ‘পুঁটি’ ওরফে শ্রীপর্ণা। তিনি এসেই হইহই বাধিয়ে দিয়েছেন। ‘বড় আম্মা’ লিলি চক্রবর্তীর চোখের মণি তিনি। পরিবারের বাকিদের সঙ্গেও টক-মিষ্টি-ঝাল সম্পর্ক তাঁর। বাড়ির মেয়ে বড় হয়ে যাওয়া মানেই তার জীবনে প্রেম। সেই ধারা মেনে সোমুর বিপরীতে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। অনিন্দ্য এর আগে ধারাবাহিক ‘কাজল নদীর জলে’তে অরুণিমা হালদারের বিপরীতে অভিনয় করছিলেন। মাত্র কয়েক মাস চলার পরেই বন্ধ হয় যায় সেটি।
অনিন্দ্য ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দা, সিরিজ়ের জনপ্রিয় মুখ। সোমুর ঝুলিতে এটি তৃতীয় ধারাবাহিক। কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? প্রশ্ন ছিল আনন্দবাজার অনলাইনের। শুটিংয়ের ফাঁকেই ফোনে জবাব দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “মাত্র দু’দিন শুটিং করেছি। আলাপ দূরের কথা, সে ভাবে কথা বলারও সুযোগ ঘটেনি।” সোমুও অনিন্দ্যের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই তাঁর আশা, এক সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
সোমুর বিপরীতে এর আগেও দুই বাঘা অভিনেতা কাজ করেছেন। রাজ চক্রবর্তীর ‘গোধূলি আলাপ’-এ কৌশিক সেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনা সংস্থার ধারাবাহিক ‘আলোর কোলে’তে কৌশিক রায়। কাকতালীয় ভাবে দুই নায়কের সঙ্গেই তুমুল চর্চায় জড়িয়েছিল তাঁর নাম। যদিও সোমু বা তাঁর দুই নায়ক এই রটনায় সিলমোহর দেননি। এ বার কি অনিন্দ্যের সঙ্গে নতুন করে চর্চায় জড়ানোর পালা? শুনেই হাঁ হাঁ করে উঠেছেন নায়িকা। বলেছেন, “অকারণ চর্চায় জড়ানোর ইচ্ছে আগেও ছিল না, এখনও নেই। যে হেতু আমার হাতে কিছুই থাকে না, তাই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।”
যদিও চিত্রনাট্য বলছে, ধারাবাহিকে অনিন্দ্য পুলিশ অফিসার। ‘পুঁটি’ অর্থাৎ সোমুর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ নাকি খুব মধুর হবে না। বাকিটা সময় বলবে। শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে অভিনীত চরিত্র নিয়ে কথা বলতে পারেননি তিনি।