মানসী সিংহ এবং আবীর চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
প্রথম পরিচালনাতেই দর্শকের প্রশংসা পাচ্ছেন মানসী সিংহ। ‘এটা আমাদের গল্প’ ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। সপ্তাহান্তে একাধিক প্রেক্ষাগৃহ থেকেছে হাউজ়ফুল। এ বার সেই ছবির জন্য সমাজমাধ্যমে বিশেষ ‘পোস্ট’ করলেন অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়। ‘এটা আমাদের গল্প’-কে বললেন বাংলা ছবির ‘গেমচেঞ্জার’।
এই মুহূর্তে একই সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে চলছে আবীর অভিনীত ‘আলাপ’। বক্স অফিসে এগিয়ে রয়েছে ‘এটা আমাদের গল্প’। তবে সেই প্রতিযোগিতা কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখেই আবীর, মানসীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লিখলেন, ‘‘নতুন করে ‘আলাপ’ করুন মানসী সিংহের সঙ্গে। এ বছর এখনও পর্যন্ত বাংলা ছবির ‘গেমচেঞ্জার’ এই ছবি। ‘এটা আমাদের গল্প’ অসাধারণ। সত্যিই ‘এটা আমাদের গল্প’।অসংখ্য অভিনন্দন মিষ্টুদি।’’ মিষ্টু, মানসীর ডাকনাম।
এক সময়ে একাধিক ছবি মুক্তি পেলে সাধারণত সূক্ষ্ম এক ধরনের প্রতিযোগিতা থাকে। তাই আবীরের এই ‘পোস্ট’ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলা ছবিতে সবাই সবার পাশে আছে। সত্যিই কেউ আছেন না নেই, তা আমি জানি না। তবে আমি এই বিশ্বাস নিয়ে বাঁচি।’’
নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বহুরূপী’ ছবির সেট থেকে আবীর এই ছবিটি পোস্ট করেন। মানসী বলছেন, ‘‘আজ যখন একটা অন্য কাজে আবীরের সঙ্গে দেখা হল, তখন দু’জনই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ছবি তুলি। এই স্বতঃস্ফূর্ততাই আমাদের এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে। আজ আবীরও চাইছে ‘এটা আমাদের গল্প’ ভাল চলুক। আমিও চাইছি ‘আলাপ’ খুব ভাল চলুক।’’
ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে মানসীর বক্তব্য, ‘‘এখনও পর্যন্ত সুরিন্দর ফিল্মস্ বা চাকীদার (পরিচালক প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী) থেকে বা তাঁদের কোনও কলাকুশলীদের থেকে কোনও বিরূপ মন্তব্য পাইনি। আমিও দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, তাঁরাও পাননি। আমি সব সময়ে বলে এসেছি, চাকীদার সঙ্গে আমার নাম উচ্চারিত হচ্ছে, সেটাই আমার কাছে বড় পাওয়া।’’
মানসী আরও বললেন, ‘‘আামার ছবির প্রিমিয়ারে সুরিন্দর ফিল্মস্, চাকীদা, আবীর-সহ সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমি জানি শত্রুতা নিয়ে জীবন চলে না। আমাদের হাতগুলি পরস্পরের সঙ্গে বাঁধা না থাকলে মুশকিল। এমন না হলে খোদ বাংলা ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হয়ে যাবে।’’
তিন বার টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত ‘আলাপ’ দেখে উঠতে পারেননি মানসী। ‘এটা আমাদের গল্প’-র পরিচালক বলছেন, ‘‘চাকীদা বলছেন, তোর ছবি আমি দেখলাম। আমার ছবি তুই দেখছিস না? আমি তিন বার নন্দনে টিকিট কেটেছি। কিন্তু আমার ছবি যেখানেই হাউজফুল হচ্ছে, সেখানেই আমার প্রযোজক আমাকে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমার কাটা টিকিটে তিন বারই ‘আলাপ’ অন্যরা দেখেছেন। তবে ওটিটি-তে আসার আগেই আমি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ‘আলাপ’ দেখব। চাইব, ‘আলাপ’-এর টিম এসেও আমাদের ছবি দেখুক।’’