তৃণমূলের অন্যতম হেভিওয়েট তারকা প্রার্থী জুন মালিয়া। বিধানসভার লড়াইটা তিনি মেদিনীপুর থেকে লড়বেন। সম্প্রতি মেদিনীপুরে মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষ। এ বারের নির্বাচনে জুনের নির্বাচনী এজেন্ট তিনিই।
নিজের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন জুন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ, গাড়ি, বাড়ি, পেশা, অতীতে কোনও অপরাধের রেকর্ড রয়েছে কি না…নির্বাচনী বিধি মেনে যাবতীয় কিছু জানিয়েছেন তিনি।
জুনের বাড়ি বালিগঞ্জে। বালিগঞ্জ সার্কাস অ্যাভিনিউয়ে। ৫০ বছরের এই তারকা প্রার্থীর স্বামীর নাম সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
তাঁর বা তাঁর স্বামীর নামে পুলিশের কাছে কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফিক্সড ডিপোজিট, টার্ম ডিপোজিট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাঙ্কের যাবতীয় জমা টাকা মিলিয়ে ২টি আলাদা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ১৬৪ টাকা এবং ৫৫ হাজার ৬২ টাকা রয়েছে।
একই ভাবে তাঁর স্বামীর ফিক্সড ডিপোজিট, টার্ম ডিপোজিট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ব্যাঙ্কে রয়েছে ২৬ লাখ ৫৬ হাজার ২১০ টাকা।
জুনের হাতে যেখানে নগদ টাকা বলতে রয়েছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা তাঁর স্বামীর নগদ টাকার পরিমাণ আরও কম। মাত্র ২০ হাজার টাকা।
মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার, বিভিন্ন বন্ড মিলিয়ে জুনের বিনিয়োগ ৬ লাখ ২৫ হাজার ১৭৩ টাকা। আর এই সমস্ত খাতে তাঁর স্বামীর বিনিয়োগ ৩৫ লাখ ৪ হাজার টাকা।
ডাকঘর, বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স সংস্থায়, এনএসএস-সহ অন্যান্য খাতে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এই সমস্ত খাতে তাঁর স্বামীর বিনিয়োগ রয়েছে ৫৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
২০১৪ সালে ৮ লাখ টাকায় একটি গাড়ি কিনেছিলেন জুন। গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান দ্রবাদি রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার।
অর্থাৎ হলফনামায় দেওয়া হিসাব অনুযায়ী জুনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং তাঁর স্বামীর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ২১০ টাকা।
এর বাইরে ২০০৩ সালের জুন মাসে বালিগঞ্জে ৯৩০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তিনি। যার মূল্য তখন ছিল ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এই মুহূর্তে জুনের ওই ফ্ল্যাটের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ টাকা।
ব্যাঙ্ক বা কোনও সংস্থার থেকে ঋণ নেননি জুন। নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা নথিতে তেমনই উল্লেখ রয়েছে।