নিজস্ব চিত্র
শিখা মিত্রের পর তরুণ সাহা। বিজেপি-র প্রার্থিতালিকায় কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে নিজের শোনার পরই তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক মালা সাহার স্বামী তরুণ জানিয়ে দিলেন, তিনি ভোটে দাঁড়াতে চান না। বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার ডিজিটালকে তরুণ বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল ছিলাম। এখনও আছি। ভবিষ্যতেও থাকব। বিজেপি-র হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’
প্রসঙ্গত, কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্র থেকে জিতেই বিধানসভায় গিয়েছেন মালা। কিন্তু এ বার তাঁকে আর প্রার্থী করেনি তৃণমূল। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অতীন ঘোষ। বিজেপি কি মনে করেছিল, টিকিট না পেয়ে মালা ক্ষুব্ধ? তাই-ই কি তাঁর স্বামীর নাম বিজেপি-র প্রার্থিতালিকায় রাখা হয়েছে? তবে তরুণের কথায় স্পষ্ট, তাঁর বা মালার সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই তরুণের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। অন্তত তরুণের তেমনই দাবি।
২৯ এপ্রিল, অর্থাৎ অষ্টম দফায় ভোট কাশীপুর বেলগাছিয়া কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে তিনবারের বিধায়ক মালা। ২০০৬ সাল থেকে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে লড়ে জিতছেন। সেই কেন্দ্রে জয়ী বিধায়ককে প্রার্থী না করে অতীনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। যদিও কেন তাঁকে প্রার্থী করা হল না, তা নিয়ে তখন কোনও মন্তব্য করতে চাননি মালা। তাঁর বা স্বামী তরুণের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্য কোনও ইঙ্গিতও ছিল না।
প্রসঙ্গত, বিজেপি দ্বিতীয় দফায় প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর বেঁকে বসেছিলেন হাওড়া দক্ষিণে বিজেপি-র প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত। তিনি প্রথমে সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দেন, ভোটে দাঁড়াবেন না। পরে অবশ্য শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে মত বদলান রন্তিদেব। ভোটে লড়তে রাজি হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর দু’জন সরাসরি ভোটে লড়তে অস্বীকার করলেন। চৌরঙ্গি কেন্দ্রে শিখা মিত্র ও কাশীপুর বেলগাছিয়া কেন্দ্রে তরুণ।