Mamata Banerjee

হবে নতুন করে প্লাস্টার, সিটি স্ক্যান-সহ একাধিক পরীক্ষা, চিকিৎসকদের কড়া নজরে মমতা

আঘাত লেগেছে ডান কাঁধ, কনুই এবং ঘাড়েও। ইসিজি রিপোর্ট সন্তোষজনক হলেও, বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের কথা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২১ ০৯:৫০

নিজস্ব চিত্র

নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর বুধবার সন্ধে থেকে এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতার হাড়ে চিড় ধরেছে। ওই পায়ের পেশীতেও চোট লেগেছে। বুধবার রাতেই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পা ফুলেছে। সেই অবস্থার এখনও তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে বুধবার রাতে এমআরআই-এর পর পায়ে অস্থায়ী প্লাস্টার করা হয়েছে। সেই ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পায়ের ফোলা ভাব কমলে বৃহস্পতিবার প্লাস্টার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

আঘাত লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান কাঁধ, কনুই এবং ঘাড়েও। রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইসিজি রিপোর্ট সন্তোষজনক হলেও, বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের কথা মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বুকে ব্যথার কারণ আঘাতজনিত কিনা, তা জানতে বৃহস্পতিবার সিটি স্ক্যান করা হতে পারে বলে খবর রয়েছে। এ ছাড়া আবারও করা হতে পারে ইসিজি। করা হবে ইকো-ও। রক্তের একাধিক রুটিন পরীক্ষাও করা হবে।

Advertisement

চিকিৎসকদের যে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়েছে, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আবার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্যের দল গঠিত হয়েছে। এসএসকেএম-এর অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ৩ বিভাগীয় প্রধান ও আরও ৫ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন মেডিক্যাল বোর্ডে। রাখা হয়েছে অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি, নিউরো মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, কার্ডিওলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, জেনারেল মেডিসিন এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞদের।

বুধবার নন্দীগ্রামে পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি করানো হয়। এসএসকেএম-এ একাধিক পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিদ্ধান্ত হয়, তাঁর এমআরআই করানো হবে। সেই মতো অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এ। সেখানে এমআরআই করিয়ে রাত ১টা নাগাদ ফের আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে।

আরও পড়ুন
Advertisement