Lok Sabha Election 2024

শাহের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক বুধ-রাতে, ছ’বছর পরে চন্দ্রবাবু কি আবার ফিরছেন এনডিএ-তে?

দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র শরিক ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ সুবিধার দাবি নিয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে বিরোধের জেরে ২০১৮-য় জোট ছাড়েন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৩
(বাঁ দিকে) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (ডান দিকে) অন্ধ্রপ্রদেশের বিরোধী নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু।

(বাঁ দিকে) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (ডান দিকে) অন্ধ্রপ্রদেশের বিরোধী নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু। — ফাইল চিত্র।

প্রায় ছ’বছর পরে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে ফিরতে চলেছে বলে জল্পনা। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, বুধবার রাতে দিল্লি পৌঁছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করবেন চন্দ্রবাবু। সেখানেই জোট চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।

Advertisement

আগামী এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। সেখানে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর উদ্দেশে বিজেপি, টিডিপি ছাড়াও তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টি এনডিএ-তে শামিল হতে পারে বলে খবর। বর্তমানে টিডিপির জোটসঙ্গী পবন গত নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। তিন দলের আসন সমঝোতা হলে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি চাপে পড়তে পারেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা।

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮ সালে এনডিএ ছাড়ে টিডিপি। ২০১৯-এর লোকসভা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে তারা একাই লড়াই করেছিল। সেই ভোটে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কাছে হেরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। সে বার ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্ধ্রে গিয়ে চন্দ্রবাবুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেছিলেন। তার পর থেকে ঘোষিত ভাবে বিজেপির সঙ্গে জোট ছিল না টিডিপির।

কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন শুরু হয় ২০২২ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবরের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারের পুরভোট থেকে। সেখানে দুই দল জোট বেঁধে লড়াই করে কংগ্রেস-ডিএমকে জোটকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। তার পরেই আবার এনডিএ-তে ফেরার রাস্তা তৈরি হয়। অন্ধ্র তথা কেন্দ্রীয় স্তরে জোটের সলতে পাকানোর শুরুটা অবশ্য ২০২৩-এর মে মাসে। ওই মাসের ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে উঠে এসেছিল টিডিপি প্রতিষ্ঠাতা এনটি রাম রাওয়ের (এনটিআর) নাম। চন্দ্রবাবুর প্রয়াত শ্বশুর এনটিআর তিনটি মেয়াদে সাত বছর অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনৈতিক অঙ্ক মাথায় রেখেই বিজেপির সঙ্গে ফের জোট বাঁধতে আগ্রহী চন্দ্রবাবু। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহনের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে পাঁচ বছর আগের বিধানসভা ভোটে জগন্মোহন যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তা আগামী ভোটে ধাক্কা খেতে পারে। টিডিপি নেতৃত্বের আশা, বিজেপিকে সঙ্গে নিতে পারলে দুর্নীতির অভিযোগগুলি নিয়ে জগন্মোহনকে অনেক বেশি চাপে ফেলা যাবে। যাতে আখেরে লাভ হবে তাঁদেরই। চন্দ্রবাবুর শ্বশুর এনটিআরের হাত ধরেই বিজেপি একদা দক্ষিণের এই রাজ্যে পা রেখেছিল। এক দশকে মোদীর শাসনে এবং হালফিলে রামমন্দির-আবেগে সেখানে হিন্দুত্বের হাওয়া কিছুটা হলেও বেড়েছে বলে তাঁদের ‘অঙ্ক’।

আরও পড়ুন
Advertisement