নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেই কলকাতার রাস্তা থেকে খুলে ফেলতে হবে সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক এবং সরকারি প্রকল্পের পোস্টার, ব্যানার। আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাতে শহরের সব জায়গা থেকে এই ধরনের পোস্টার, ব্যানার খুলে ফেলা হয়, তা নিশ্চিত করতে বুধবার কলকাতা-সহ দুই জেলার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করল রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। বৈঠকে কমিশনের তরফে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ ছাড়াও কমিশনের ওই সমন্বয় বৈঠকে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, এমন কোনও পোস্টার বা ব্যানার ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর শহরে রাখা চলবে না। ওই পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। রাজনৈতিক পোস্টার ছাড়াও এই তালিকায় থাকছে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারমূলক পোস্টার এবং ব্যানার।
কমিশন সূত্রে খবর, অন্য জেলার ক্ষেত্রেও জেলাশাসকদের একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কলকাতার ক্ষেত্রে সাধারণত পুরসভাই এই কাজ করে থাকে। তাই আলাদা করে তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আদর্শ আচরণবিধি সংক্রান্ত নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হল। কলকাতার অনেক অংশ দুই ২৪ পরগনার মধ্যে পড়ে। তাই বুধবারের বৈঠকে ওই দুই জেলার জেলাশাসককেও রাখা হয়েছিল।
মার্চের শুরুতেই রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি বাহিনীর আসার কথা বাংলায়। প্রথম দফার ১০০ কোম্পানির মধ্যে কোন জেলায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে, বুধবার তা নিয়েও বৈঠক করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, জেলা, পুলিশ জেলা ও কমিশনারেট এলাকার হিসাবে বাহিনীর বণ্টন করা হয়েছে। প্রথম দফায় কলকাতায় সবচেয়ে বেশি বাহিনী আসতে চলেছে। সাত কোম্পানি বাহিনী আসবে কলকাতায়। এ ছাড়া, সন্দেশখালি যে পুলিশ জেলার অন্তর্গত, সেই বসিরহাট পুলিশ জেলায় মোতায়েন করা হবে তিন কোম্পানি বাহিনী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রীয় জওয়ানেরা আপাতত ভোটারদের আস্থা বৃদ্ধি করার কাজ করবেন। তাঁরা বুথে বুথে ঘুরবেন এবং স্পর্শকাতর এলাকায় একাধিক বার রুটমার্চ করবেন।