Lok Sabha Election 2024

খুন্তি হাতে রান্না লকেটের, খাবার পরিবেশনে রচনা! হুগলিতে দুই দিদির ‘নম্বর ওয়ান’ হওয়ার লড়াই

প্রচারে বেরিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, ‘‘আমার জীবনে আর কিছু পাওয়ার নেই। এ বার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।’’ ওলাবিবিতলায় রান্না করতে করতে প্রচার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হুগলি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৩
Locket and Rachana

লকেট চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিকে)। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

টলিউডে তাঁরা সহকর্মী। তবে ভোটের ময়দানে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। লোকসভা এবং বিধানসভা মিলিয়ে এক জনের তিন তিনটি ভোটে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা। তার উপর বিদায়ী সাংসদ। অন্য জন একেবারেই আনকোরা। তবে প্রচারের ময়দানে কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। হুগলি কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়ে ঝড় তুলছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

এ নিয়ে চতুর্থ দিন নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ শোয়ের অ্যাঙ্কর এবং অভিনেত্রী রচনা। দুপুরে দলের ভোজসভায় নিজের হাতে কর্মীদের খাবার পরিবেশন করেন তিনি। অন্য দিকে, ওই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লকেট জনসংযোগে বেরিয়ে রান্না করলেন। ভোটযুদ্ধে একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তাঁরা।

মঙ্গলবার পোলবা রাজহাট পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটের প্রচারে যান লকেট। সেখানে গ্রামের মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন সকলের সঙ্গে। তার পর রাজহাট এলাকায় ওলাবিবিতলায় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন বিজেপি প্রার্থী। প্রতি বছর এই সময়ে রাজহাট ওলাবিবিতলায় অনুষ্ঠিত হয় রান্নাপুজো উৎসব। সেখানে বহু মানুষের জমায়েত হয়। রীতি অনুযায়ী, গ্রামের মানুষ ওলাবিবিতলার তলায় রান্না করেন। সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করেন। ওলাবিবিতলা থেকে প্রার্থনা করে বেরিয়ে গ্রামের মানুষের সঙ্গে রান্নায় হাত লাগান লকেটও। তাঁকে দেখতে ভিড়ও জমে যায়। কারও কারও আবদারে নিজস্বীও তোলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী।

অন্য দিকে, চন্দননগরে প্রচারে বেরিয়ে রচনার ঘোষণা, ‘‘আমার জীবনে আর কিছু পাওয়ার নেই। এ বার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।’’ হুগলির তৃণমূল প্রার্থী বোড়াইচণ্ডী মন্দিরে পুজো দিয়ে পাশের একটি মাজারে চাদর চড়িয়ে প্রচার শুরু করেন রচনা। তাঁকে দেখতেও ভিড় জমে যায় রাস্তার দু’ধারে। বোড়াইচণ্ডীতলা থেকে বেরিয়ে বিন্দুবাসিনী পাড়া হয়ে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার হয়ে বিভিন্ন পাড়ায় প্রচার করেন তিনি। পরে একটি লজে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ‘একতা ভোজে’ অংশ নেন।

রচনা বলেন, ‘‘আমি নাম করে নিয়েছি। খ্যাতি আছে। এখন যদি জীবনের শেষ পনেরো-কুড়িটা বছর মানুষের জন্য কিছু করতে পারি, তা হলেই খুশি হব। জীবনে আমার আর কিছু পাওয়ার নেই। আমি ‘দিদি নম্বর এক’ হতেই হুগলিতে এসেছি। মানুষের প্রতি আস্থা বিশ্বাস আছে। তাই বলছি, আমি জিতব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement